উজ্জ্বল: (বাঁ দিক থেকে) অভিনন্দন বসু, দেদীপ্য রায় এবং অর্চিষ্মান সাহা। নিজস্ব চিত্র
রাজ্যের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলিতে ভর্তির জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার ফল ঘোষণার পরে প্রায় সমস্ত কৃতী ছাত্রছাত্রীর মুখেই এক কথা। সকলেরই পাখির চোখ সর্বভারতীয় জয়েন্ট এন্ট্রান্স (অ্যাডভান্স) পরীক্ষার ফল। যে পরীক্ষায় সফল হলে ভর্তি হওয়া যায় দেশের বিভিন্ন আইআইটি-তে।
রাজ্য জয়েন্টে প্রথম, সাউথ পয়েন্ট হাই স্কুলের অভিনন্দন বসুর সাফ কথা, অধিকাংশ বন্ধুই আর রাজ্যে থাকতে চাইছেন না। তিনিও না। আপাতত হোমি ভাবা সেন্টার ফর সায়েন্টিফিক এডুকেশন-এর সায়েন্স ক্যাম্পে অংশ নিতে তিনি মুম্বইয়ে। ইচ্ছে, মুম্বই, কানপুর কিংবা দিল্লি আইআইটি-তে পড়ার। তবে একান্তই না পেলে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়ার ইচ্ছে অভিনন্দনের।
দ্বিতীয় স্থানাধিকারী হরিয়ানা বিদ্যামন্দির স্কুলের ছাত্র দেদীপ্য রায় মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চান। ক্রিকেটপ্রিয় দেদীপ্য আপাতত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা ভেবে রেখেছেন। তবে আইআইটি পেলে সুযোগ হাতছাড়া করবেন না।
দিল্লি পাবলিক স্কুল, রুবি পার্কের ছাত্র অর্চিষ্মান সাহা তৃতীয় স্থানে। তবে জয়েন্টের ফলাফল নিয়ে বিশেষ ভাবিত নন তিনি। ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার ইচ্ছে তাঁর নেই। পদার্থবিদ্যা নিয়েই আগামী দিনে পড়াশোনা করতে চান। ইচ্ছে, বায়ো-মেডিক্যালে গবেষণা। তার জন্য অর্চিষ্মানেরও লক্ষ আইআইটি মুম্বই। সেখানে না পেলে বেঙ্গালুরু। পড়াশোনার পাশাপাশি বেহালায় হাত পাকিয়েছেন তিনি। আইনস্টাইনের ভক্ত? হেসে সম্মতি জানালেন অর্চিষ্মান।
রাজ্য জয়েন্টে চতুর্থ হয়েছেন খিদিরপুরের সেন্ট টমাস বয়েজ স্কুলের শুভম অগ্রবাল। পঞ্চম, এপিজে সল্টলেকের দেবজ্যোতি কর। ষষ্ঠ, শ্রী শ্রী অ্যাকাডেমির নমন বিয়ানি। সপ্তম, হেম শীলা মডেল স্কুলের ঋত্বিক গঙ্গোপাধ্যায়। অষ্টম, অ্যাডামাস ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের রণজয় মিদ্যা। নবম, রাঁচির সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলের অভিষেক শ্রীবাস্তব। রাজ্যের কোনও কলেজই এঁদের কারও প্রথম পছন্দের তালিকায় নেই।
দশম স্থান অধিকারী আয়ুষি বিদ্যান্ত আবার বহু দিন রাজ্যের বাইরে। বাবা নৌসেনায় কর্মরত। আয়ুষিও ছোট থেকে হিল্লি-দিল্লি করে আপাতত বিশাখাপত্তনমে। এত দিন বাইরে পড়াশোনা করে আয়ুষি চান কলকাতায় ফিরতে। তবে আইআইটি-তে সুযোগ পেলে পরিকল্পনা বদলে যাবে তাঁরও!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy