Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

কী কী দেবেন মমতা, অপেক্ষায় পাহাড়

ঝড়-জলের বিকেলে অভ্যর্থনা পার হয়ে কালিম্পঙে পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী। যেখানে শুধু মোর্চা আর তৃণমূলই নয়, হাতে হাতে স্বাগত জানাতে মিলেমিশে গেল পাহাড়ের প্রায় সব সম্প্রদায়।

শুধু মোর্চা আর তৃণমূলই নয়, মমতাকে স্বাগত জানাতে মিলেমিশে গেল পাহাড়ের প্রায় সব সম্প্রদায়।

শুধু মোর্চা আর তৃণমূলই নয়, মমতাকে স্বাগত জানাতে মিলেমিশে গেল পাহাড়ের প্রায় সব সম্প্রদায়।

দেবাশিস চৌধুরী
কালিম্পং শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০১৮ ০৪:০৭
Share: Save:

ঘড়িতে তখন বিকেল পৌনে পাঁচটা। তিস্তাবাজারে সেতুর উপরে দাঁড়িয়ে কয়েকশো মানুষ। যে কোনও সময়ে এসে পড়বেন মুখ্যমন্ত্রী। এর মধ্যে এসে দাঁড়াল একটি গাড়ি। তার থেকে ঝপঝপ করে নামলেন কয়েক জন যুবক। সকলের হাতে মোর্চার পতাকা। নেমেই ভিড়ের দিকে তাকিয়ে স্লোগান দিলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ।’’

এর ঠিক এক ঘণ্টা পরে কালিম্পঙে ঢোকার মুখে দেখা আর একটি দলের সঙ্গে। সেই দলের হাতে তৃণমূলের পতাকা। মুখে এক স্লোগান, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ।’’

ঝড়-জলের বিকেলে এমনই অভ্যর্থনা পার হয়ে কালিম্পঙে পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী। যেখানে শুধু মোর্চা আর তৃণমূলই নয়, হাতে হাতে স্বাগত জানাতে মিলেমিশে গেল পাহাড়ের প্রায় সব সম্প্রদায়। আর সেই অভ্যর্থনার মধ্যেই উঠে এল একটাই কথা, পাহাড়ে এখন গোলমাল নেই। এখন আমাদের উন্নয়নের কাজকে আরও এগিয়ে দিন মুখ্যমন্ত্রী।

সে কথা মাথায় রেখেই প্রশাসনিক বৈঠক এবং ১৫ বোর্ডের যৌথ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানকে কাজে লাগাতে চাইছে রাজ্য প্রশাসন। সরকারি সূত্রে খবর, বাড়ি, কমিউনিটি হল, নৈশ স্কুল তো বটেই, পাহাড়ের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ পানীয় জলের প্রকল্পের ঘোষণা করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। পাহাড়ে যে পানীয় জলের আকাল, সে কথা এর আগে দার্জিলিঙে গিয়েও তিনি একাধিক বার উল্লেখ করেছেন। জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছে। এই সংক্রান্ত কোনও ঘোষণা তাই পাহাড়ের মানুষের কাছাকাছি পৌঁছতে আরও বেশি করে সাহায্য করবে, বলছেন অভ্যর্থনায় হাজির লোকজনেরাই।

আরও পড়ুন: এত উন্নয়ন, তবু মুখ ফেরাল কেন জঙ্গলমহল?

বিমল গুরুংহীন পাহাড়ে এর আগেও এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে গুরুং ফেরার হওয়ার পরে কালিম্পং সফর এই প্রথম। গুরুংকে ধরতে নামচিতে যে অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ, তাতে সিকিম অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন কালিম্পং জেলার পুলিশকর্তার উপরেই। তার পরে অবশ্য তিস্তা দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী পবনকুমার চামলিংয়ের সঙ্গে মমতার বৈঠকের পরে সম্পর্ক অনেক সহজ হয়েছে। সিকিমের গা ঘেঁষা কালিম্পং জেলায় তাই কাজের সুযোগ এখন অনেক বেশি। এ কথা মানছেন প্রশাসনের লোকজনেরাও।

তিস্তাবাজারে ঢোকার আগে অভ্যর্থনা দলের সঙ্গে দাঁড়িয়ে ছিলেন পবন ভুজেল। তিনি বলেন, ‘‘এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে এ বার গুরুত্বপূর্ণ কোনও ঘোষণা করা উচিত সরকারের।’’ বৃষ্টির বিকেলে এই প্রত্যাশা নিয়েই মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানাল কালিম্পং। বাকিটার জন্য সকলেই এখন তাকিয়ে আগামী দু’দিনের বৈঠকের দিকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE