শুক্রবার কৃষ্ণনগরে মুকুল রায়। ছবি: সুদীপ ভট্টাচার্য
পাপ করেছিলেন তিনি।
কৃষ্ণনগরে এসে নিজের ‘কৃতকর্মের’ জন্য ক্ষমা চেয়ে গেলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়।
তৃণমূলের সংসর্গ ছেড়ে সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া প্রাক্তন সাংসদের দাবি, পাঁচ বছর আগে, বামেদের হাত থেকে নদিয়া জেলা পরিষদ দখল করতে তৃণমূল যে পন্থা নিয়েছিল তা ঠিক নয়। তার কারিগর হিসেবে ‘পাপ’ করেছিলেন তিনি। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে তারই ‘প্রায়শ্চিত্ত’ করতে চান তিনি।
কি সেই পন্থা, পাপ-ই বা কি? তা অবশ্য খোলসা করেননি মুকুল। শুধু বলেন, “সেটা তৃণমূল নেতাদের, যাঁরা ক্ষমতায় আছেন তাঁদের জিজ্ঞাসা করুন না!’’
তবে কৃষ্ণনগরে বিজেপির দলীয় কর্মীসভা ছেড়ে বেরনোর মুখে তিনি অবশ্য বলেন, ‘‘২০১৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল নদিয়া জেলা পরিষদ জিতত না। সে দিন মুকুল রায় পাপ করেছিল বলেই তারা জেলা পরিষদ পেয়েছিল।”
তার পর একটু থেমে গাড়িতে ওঠার আগে জুড়ে দিচ্ছেন, ‘‘নদিয়ার মানুষের কাছে সেই পাপের জন্য আমি ক্ষমা চাইছি।” গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়ে মুকুল শুধু তৃণমূলের নদিয়া জেলা পর্যবেক্ষকই ছিলেন না, সে সময়ে এ জেলা একান্ত ভাবেই তাঁর নিজের জেলা বলেই পরিচিত ছিল।
যা শুনে, তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওঁকে অনেক কিছুরই প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে। দলকে ব্যবহার করে উনি যে ভাবে বড় হয়েছেন, মানুষকে বিপদে ফেলেছেন, তার প্রায়শ্চিত্তও করতে হবে। তবে, যার কোনও লোকলস্কর নেই, তিনি কী করবেন বা করবেন না, তা নিয়ে আলোচনা করে লাভ কী!’’
পাঁচ বছর আগে, ২০১৩ সালের ২২ জুলাই পঞ্চায়েতের নির্বাচনের দিনভর শাসক দলের চাপা সন্ত্রাসের অভিযোগ বার বার তুলেছিলেন বিরোধীরা। নির্দিষ্ট সময়ের পরে, রাত গড়িয়ে গেলেও সে দিন, তৃণমূল নেতাদের চাপে নদিয়ার বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোট পড়েছিল। কে দিয়েছিল সেই ভোট? বাম থেকে কংগ্রেস— সকলেরই অভিযোগ ছিল, রাতভর ছাপ্পা ভোট দিয়েছিল তৃণমূল। সেই ‘পাপের’ কথাই কি কবুল করলেন মুকুল? না, আর ভাঙতে চাননি বিজেপি নেতা।
এ দিন তাঁর ‘পাপের’ প্রসঙ্গ তুললেও মনে করিয়ে দিচ্ছেন, ‘‘বর্তমান রাজ্য সরকার সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়ের ফ্যাসিবাদী সরকারের মতোই। মনে রাখবেন, তৃণমূলের বিরোধীতা করার জন্য এই ক’বছরে হাজার হাজার মানুষকে নার্কোটিক কেস দিয়ে জেলে ভরে দেওয়া হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy