সদ্য তরুণী। বিয়ের পরে, গয়না পরার ভারী শখ তার। কিন্তু বিয়েতে যৌতুক পাওয়া সব গয়নাই রয়েছে শাশুড়ির জিম্মায়। তাই বাপের বাড়ি গেলে গয়না পরে যাওয়া হয় না।
তা নিয়ে বার বার আবদারেও ফল হয়নি। সোমবার দুপুরেও তেমনই আবদার করেছিল সে, জুটেছিল কিল-চড়-লাথি। বেকায়দায় লেগে মেঝেতে পড়েই মারা যায় মাধবী মণ্ডল (১৮)।
মাধবীর বাবার অভিযোগ, দায় এড়াতে এর পরেই মেয়েকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। দাবি আত্মঘাতী হয়েছে মাধবী। মঙ্গলবার সকালে রঘুনাথগঞ্জ থানার ফ্রেজারনগরে ওই ঘটনা জানাজানি হতেই পুলিশ গিয়ে দেহটি নামিয়ে আনে। তবে, ঘটনার পরেই উধাও হয়ে গিয়েছে শ্বশুরবাড়ির সকলে।
মাধবীর মা গীতা মণ্ডল জানান, মাস দুয়েক আগে বিয়ে হয়েছিল তার। বিয়েতে চাপ দিয়েই আদায় করা হয়েছিল বেশ কিছু সোনার গয়না। সঙ্গে নগদ ৭৫ হাজার টাকাও। গীতা বলছেন, ‘‘কিন্তু বিয়ের দিন কয়েকের মধ্যেই মেয়ের কাছে শুনলাম সব গয়না হাতিয়ে নিয়েছে ওর শাশুড়ি। মেয়ে পড়তে চাইলেও দেওয়া হত না। জামাইকে বলেও লাভ হয়নি। উল্টে মারধর করা হত মাধবীকে।’’
দিদি মীরা বলছেন, ‘‘সোমবার বাড়ি আসার সময়ে গয়না চেয়েছিল মাধবী। দেওয়া হয়নি। রাতে ফিরিয়েও নিয়ে গিয়েছিল। আর মঙ্গলবার শুনলাম ওর দেহ ঝুলছে, সারা গায়ে আঘাতের চিহ্ন।’’ রঘুনাথগঞ্জ থানার আইসি সৈকত রায় বলছেন, ‘‘ঘটনার পর থেকেই ওরা পালিয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy