তীব্র গরমে স্টেশনে দরদরিয়ে ঘামতে ঘামতে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছেন যাত্রীরা। অথচ ট্রেনের দেখা নেই।
একই সময়ে গরম উপেক্ষা করে ট্র্যাক মেরামত করছেন রেলকর্মীরা। তারই সঙ্গে ভিডিয়ো-বার্তা: দুর্ঘটনা কমাতেই এই মেরামতি। তাই যাত্রীদের সহযোগিতা চাইছে রেল।
রেল পরিষেবার প্রথম ও প্রধান শর্ত সময়সূচি মেনে ট্রেন চালানো। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, লোকাল হোক বা এক্সপ্রেস, দেরিতে ট্রেন চলাটাই নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। রোজ রোজ ট্রেন দেরি করায় যাত্রী-বিক্ষোভ হচ্ছে এখানে-সেখানে। মাঝেমধ্যেই মারমুখী হয়ে উঠছে ক্ষিপ্ত জনতা। পরিস্থিতি এমনই দাঁড়িয়েছে যে, নিজেদের পিঠ বাঁচাতে আবেদন-নিবেদনের রাস্তা নিতে হচ্ছে রেল-কর্তৃপক্ষকে। এক মিনিটের ওই বিশেষ ভিডিয়ো-বার্তার সাহায্যে দেরির কারণ ব্যাখ্যা করে সহযোগিতা চাওয়া হচ্ছে যাত্রীসাধারণের। যে-সব পথে বিভিন্ন শ্রেণির ট্রেন প্রায়ই দেরিতে চলছে, সেখানকার স্টেশনের ডিসপ্লে বোর্ডে নিয়মিত ব্যবধানে দেখানো হবে ওই ভিডিয়ো। স্টেশনের ডিসপ্লে বোর্ডে অডিয়ো ব্যবস্থা না-থাকায় প্ল্যাটফর্মে বসানো মাইক্রোফোনে শোনানো হবে ওই বিশেষ বার্তা।
রেল সূত্রের খবর, ট্র্যাক রক্ষণাবেক্ষণে নজর দিতে গিয়ে গত কয়েক মাসে সময় মেনে ট্রেন চালানোর ব্যাপারটা শিকেয় উঠেছে। আগের তুলনায় দুর্ঘটনা কমলেও ট্রেন চলাচলে দেরির জন্য কমবেশি সব জায়গাতেই ক্ষোভ বাড়ছে যাত্রীদের। রেল অবরোধ, টিকিট কাউন্টার ভাঙচুরের মতো ঘটনা ঘটছে প্রায়ই। দেরিতে ট্রেন চললে যাত্রী-ক্ষোভ কোথায় পৌঁছতে পারে, মানপুরে রাজধানী এক্সপ্রেসের ঘটনার আগে সেটা সম্ভবত আঁচ করতে পারেননি রেল-কর্তৃপক্ষ। ওই ঘটনায় চার ঘণ্টা অপেক্ষায় থাকা হাওড়া-গয়া প্যাসেঞ্জারের ক্ষিপ্ত জনতা শিয়ালদহ-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসের বাতানুকূল কামরার জানলার প্রায় ৪০টি কাচ ভাঙচুর করে।
ট্রেনের দেরি, যাত্রী-ক্ষোভ সংক্রান্ত সমস্যার কথা মেনে নিয়েছেন রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান অশ্বিনী লোহানি। রাতারাতি যে এই সমস্যার সুরাহা হবে না, তা-ও জানিয়েছেন তিনি। যাত্রীদের ক্ষোভ নিয়ে চিন্তিত রেল-কর্তৃপক্ষ তাই তড়িঘড়ি সব অঞ্চলে জরুরি ভিত্তিতে ওই ভিডিয়ো-বার্তা প্রচারের নির্দেশ দিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy