প্রতীকী ছবি।
ট্রেনের গার্ড, চালক এবং টিকিট পরীক্ষকদের জন্য বড় বড় স্টেশনের পাশে বিশ্রাম কক্ষ রয়েছে। তাঁদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা আছে সেখানে। অথচ যাঁরা রেল ব্যবস্থায় সর্বাঙ্গীণ সুরক্ষা জোগান, সেই আরপিএফ বা রেল নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানদের জন্য বিশ্রাম কক্ষ নেই কোনও স্টেশনেই। কর্মস্থলে ন্যূনতম স্বাচ্ছন্দ্যের দাবিতে তাঁরা আবেদন-নিবেদন, চিঠিচাপাটির পথ ধরেছেন।
আরপিএফের অভিযোগ, তাদের বিশ্রাম-ব্যারাকে পরিকাঠামোগত স্বাচ্ছন্দ্য নেই। মহিলা জওয়ানদের ভোগান্তি বেশি। তাঁদের পুরুষদের সঙ্গে একই ব্যারাকে থাকতে হয়।
ন্যূনতম স্বাচ্ছন্দ্য চেয়ে রেল বোর্ডের চেয়ারম্যানের শরণাপন্ন হয়েছে আরপিএফ অ্যাসোসিয়েশন। রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান অশ্বিনী লোহানি মার্চে কলকাতায় এসে গার্ডেনরিচে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের সদর, হাওড়া ও শিয়ালদহ স্টেশন, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর নির্মাণস্থল এবং কলকাতা স্টেশন পরিদর্শন করেন। গরফায় রেলসেতু পরিদর্শনে যান। তাঁর কাছে জওয়ানদের স্বাচ্ছন্দ্যের ব্যাপারে দাবিপত্র পেশ করে অল ইন্ডিয়া আরপিএফ অ্যাসোসিয়েশন।
এক আরপিএফ-কর্তা বলেন, অল ইন্ডিয়া আরপিএফ অ্যাসোসিয়েশন কোনও ট্রেড ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্ত নয়। শ্রমিক আন্দোলনে জড়িত নয়। তবে আরপিএফ জওয়ানদের সমস্যা নিয়ে তারা সরব। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক প্রমোদ কুমার রেল বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো চিঠিতে লিখেছেন, মহিলা আরপিএফ জওয়ানদের জন্য জরুরি ভিত্তিতে আলাদা ব্যারাক তৈরি করতে হবে। কাজের জায়গায় তাঁদের পোশাক বদলের ‘চেঞ্জিং রুম’ চাই। স্বাচ্ছন্দ্যের যথাযথ পরিকাঠামো চাই ব্যারাকে।
রেল সূত্রের খবর, এই বিষয়গুলি গুরুত্ব দিয়ে দেখার জন্য রেলকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন লোহানি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy