সমাবর্তন শেষে এ ভাবেই নিরাপত্তার বেড়াজাল পেরিয়ে প্রধানমন্ত্রী কাছে চলে গিয়েছিলেন ভদ্রেশ্বরের স্বপন মাঝি। ফাইল চিত্র।
নিরাপত্তা বলয় পেরিয়ে মোদীর কাছে আগন্তুকের পৌঁছে যাওয়ার ঘটনায় নড়েচড়ে বসল প্রধানমন্ত্রীর দফতর। সূত্রের খবর, কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল, সে ব্যাপারে কারণ দর্শানোর চিঠি (শো কজ) ধরানো হয়েছে এসপিজি-র কাছে। অন্তর্তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এসপিজি-র পাশাপাশি রাজ্য পুলিশও এর দায় এড়াতে পারে
না বলে মনে করছে প্রশাসনের একাংশ। নবান্ন সূত্রের দাবি, রাজ্য পুলিশের ‘ডিরেক্টরেট অব সিকিউরিটি’-র অধিকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হতে পারে। যদিও শনিবার রাত পর্যন্ত এ নিয়ে কোনও নির্দেশিকা জারি হয়নি।
শুক্রবার সমাবর্তন অনুষ্ঠান শেষে নিরাপত্তার বেড়াজাল ডিঙিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে চলে গিয়েছিলেন ভদ্রেশ্বরের স্বপন মাঝি (শুক্রবার প্রথমে তাঁর নাম চন্দন মাজি বলে জানা গিয়েছিল)। মোদীকে প্রণাম করে রবীন্দ্রনাথের একটি ছবিও উপহার দেন। এর আগে তিনি বিশ্বভারতীর সমাবর্তনেই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন।
শুক্রবার স্বপনকে রাতভর জেরা করা হয়েছে। এ দিন বীরভূমের এসপি নীলকান্তম সুধীর কুমার বলেন, ‘‘ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এখনও তেমন কিছু মেলেনি।’’ রাতে বীরভূম পুলিশের একটি দল স্বপনের বাড়িতে গিয়ে তাঁর পরিজনদের জিজ্ঞাসাবাদও করেছে। কিন্তু কী ভাবে এই কাণ্ড ঘটল, তা নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে সব পক্ষ।
প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তাবলয়ে একাধিক স্তর থাকে। রাজ্য পুলিশের দাবি, মঞ্চের একেবারে সামনের এলাকা ‘ডি জোন’ এবং প্রধানমন্ত্রীকে ঘিরে ছিল এসপিজি। ফলে এই ঘটনার বিষয়ে তারাই বলতে পারবে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অনুষ্ঠান শেষে স্বপন একেবারে চূড়ান্ত বলয়ে ছিলেন। সেখান থেকে গটগট করে হেঁটে মঞ্চে ওঠেন। অনেকেই বলছেন, অনুষ্ঠানস্থলের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল রাজ্য পুলিশ। সেই ব্যূহ ভেদ করে চূড়ান্ত বলয়ে স্বপন পৌঁছলেন কী ভাবে? যে ব্যক্তি আগেও এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন, তার তথ্য তো গোয়েন্দাদের কাছে থাকা উচিত।
কেউ কেউ অবশ্য বলছেন, রাজনৈতিক নেতাদের জন্য জারি করা ছাড়পত্র (পাস) দেখিয়েই সম্ভবত স্বপন ওই বলয়ে ঢুকেছিলেন। বাস্তবে সেটাই যে ঘটেছিল, তা সরকারি ভাবে বলা হয়নি। পাশাপাশি কে কে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন, তার তালিকাও এসপিজি-র কাছে থাকে। স্বপনের নাম সেই তালিকায় থাকলে তাঁকে তো সরানোর কথা নয়।
ফলে প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে, উত্তর মিলছে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy