বিনয় তামাঙ্গ।
দু’সপ্তাহ আগেই দার্জিলিং পাহাড়ের ‘খাস’ সম্প্রদায়কে অনগ্রসর তালিকা ভুক্ত করেছে রাজ্য সরকার। এ বার জিটিএ-র আওতাভুক্ত এলাকার পুরুষ চাকরিপ্রার্থীদের পুলিশ ও সশস্ত্র বাহিনীতে যোগদানের ক্ষেত্রে উচ্চতায় ছাড় দেওয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তি দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
গত ১১ এপ্রিলের ওই বিজ্ঞপ্তিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, জিটিএ-র আওতায় থাকা এলাকার চাকরিপ্রার্থীদের কনস্টেবল পদে আবেদনের ক্ষেত্রে উচ্চতায় ছাড় মিলবে। আর পাঁচ জনের জন্য ওই পদে ন্যূনতম উচ্চতা থাকা দরকার ১৬২.৫ সেন্টিমিটার। কিন্তু, জিটিএ এলাকার কর্মপ্রার্থীদের ন্যূনতম উচ্চতা ১৫৭ সেন্টিমিটার হলেই চলবে।
প্রথমে রাজ্য ও তার পরে কেন্দ্র দীর্ঘদিনের আর্জি মেনে নেওয়ায় খুশি জিটিএ-র তত্ত্বাবধায়ক চেয়ারম্যান বিনয় তামাং, ভাইস চেয়ারম্যান অনীত থাপারা। বিনয় বলেন, ‘‘আমরা দীর্ঘদিন ধরেই পাহাড়ের ছেলেদের উচ্চতায় ছাড় চাইছিলাম। দল এবং জিটিএ-র তরফে চিঠিও দেওয়া হয়। তাই কেন্দ্র এই বিজ্ঞপ্তি জারি করায় আমরা খুশি।’’
শীঘ্রই দিল্লি যাবেন বিনয়। তিনি বলেন, ‘‘দিল্লি গিয়ে পাহাড়ের ১১টি সম্প্রদায়কে তফসিলি জনজাতি হিসেবে স্বীকৃতির দাবি জানাব।’’ ঘটনাচক্রে, ওই ১১টি সম্প্রদায়ের স্বীকৃতি দাবি করে এর মধ্যেই কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছে রাজ্যও।
পাহাড়ের অন্য রাজনৈতিক দলগুলিও রাজ্য ও কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। যদিও জিএনএলএফের দাবি, তারা দু’দশক আগে থেকেই এই দাবিগুলি জানিয়ে আসছে। জন আন্দোলন পার্টির সভাপতি হরকাবাহাদুর ছেত্রী জানান, তাঁরাও দিল্লির কাছে বহুবার বিষয়টি নিয়ে আর্জি জানিয়েছেন। তৃণমূলের দার্জিলিং পাহাড় শাখার সভাপতি লালবাহাদুর রাই অবশ্য জানিয়েছেন, পাহাড়ি এলাকার চাকরিপ্রার্থীদের জন্য ছাড় নতুন কিছু নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy