Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

কর্মবিরতি ঘিরে বচসা, ধস্তাধস্তি

কলকাতা হাইকোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশন বৃহস্পতিবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আপাতত ১১ মে পর্যন্ত কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়া তো হবেই। দাবি আদায়ের জন্য তার পরেও কাজ বন্ধ রাখা হবে কি না, সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে ১৪ মে, আইনজীবীদের সংগঠনের পরবর্তী বৈঠকে।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০১৮ ১৯:৫৯
Share: Save:

মূল দাবি কলকাতা হাইকোর্টের শূন্য পদগুলিতে বিচারপতি নিয়োগ। সেই দাবির সুরাহায় সক্রিয় হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট এবং কেন্দ্রীয় সরকার। তাদের সক্রিয়তার পরিপ্রেক্ষিতে কর্মবিরতি তুলে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি। কিন্তু কাজে ফেরা তো দূরের কথা, কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ারই রাস্তা নিলেন কৌঁসুলিরা।

কলকাতা হাইকোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশন বৃহস্পতিবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আপাতত ১১ মে পর্যন্ত কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়া তো হবেই। দাবি আদায়ের জন্য তার পরেও কাজ বন্ধ রাখা হবে কি না, সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে ১৪ মে, আইনজীবীদের সংগঠনের পরবর্তী বৈঠকে।

পর্যাপ্ত বিচারপতি নিয়োগের দাবিতে হাইকোর্টে আইনজীবীদের কর্মবিরতি চলছে ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে। এর মধ্যে দিল্লিতে শীর্ষ আদালত এবং কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের বৈঠক হয়েছে। দু’দফায় বিচারপতির কয়েকটি পদ পূরণের বন্দোবস্তও হয়েছে। বিচারপতি হিসেবে তাঁদের নিয়োগের জন্য বুধবার সম্মতি জানান হাইকোর্টের চার আইনজীবী। তার পরে বিচারপ্রার্থী, আইন শিবিরের একাংশ, এমনকি কৌঁসুলিদেরও অনেকে ভেবেছিলেন, বৃহস্পতিবারের বৈঠকে এত দিন ধরে চলা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেবে বার অ্যাসোসিয়েশন।

আদালত সূত্রের খবর, এ দিন সকালে বৈঠক শুরু হওয়ার পরে কর্মবিরতি প্রত্যাহার নিয়ে প্রবীণ আইনজীবীদের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন নবীন আইনজীবীদের একাংশ। প্রবীণেরা জানান, চার বিচারপতি নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নেওয়া উচিত। কিন্তু নবীনদের বক্তব্য, আগে নতুন বিচারপতিদের নিয়োগপত্র আসুক। এই নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে তুমুল বাদানুবাদ শুরু হয়। সেটা গড়ায় ধস্তাধস্তি পর্যন্ত।

বৈঠকে বিজেপির আইনজীবী শাখার আহ্বায়ক তরুণ চট্টোপাধ্যায় বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে নিগৃহীত হন বলে অভিযোগ। ধস্তাধস্তি ও নিগ্রহের জেরে তখনকার মতো বৈঠক ভন্ডুল হয়ে যায়। বিজেপির আইনজীবী শাখার সদস্যেরা হাইকোর্টের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু করে দেন।

পরিস্থিতি একটু শান্ত হওয়ার পরে ফের বৈঠক শুরু হয় বেলা সাড়ে ১২টায়। বৈঠক শেষে সংগঠনের সভাপতি উত্তম মজুমদার জানান, সিদ্ধান্ত হয়েছে, ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিকে ‘স্থায়ী’ করার নির্দেশপত্র এবং নতুন বিচারপতিদের নিয়োগপত্র এলে কর্মবিরতি প্রত্যাহার নিয়ে পদক্ষেপ করা হবে। সে-ক্ষেত্রে ১৪ মে-র আগে ফের বৈঠক ডাকা হতে পারে বলে জানান সভাপতি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE