আর্থিক ভাবে পিছিয়ে থাকা সাধারণ শ্রেণির নাগরিকদের জন্য সরকারি চাকরি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১০ শতাংশ সংরক্ষণ চালু করছে রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় আইন হুবহু মেনে মঙ্গলবার এই ব্যবস্থায় সিলমোহর দিয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভা। নরেন্দ্র মোদী সরকার কেন্দ্রীয় ভাবে আগেই এই সংরক্ষণ চালু করেছে।
গত জানুয়ারিতে সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। সাধারণ শ্রেণির সংরক্ষণের সুবিধা বেশ কয়েকটি রাজ্যে ইতিমধ্যেই চালু হয়ে গিয়েছে। এ রাজ্যে তা চালু করেনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে তা মেনে নেওয়া হয়েছে।
পরিষদীয়মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রাজ্যে এই সংরক্ষণ নীতি চালু হলে সাধারণ শ্রেণির আর্থিক ভাবে পিছিয়ে থাকা অংশের মানুষ চাকরি ও উচ্চশিক্ষায় সংরক্ষণের সুযোগ পাবেন।’’ পার্থবাবু জানিয়েছেন, আজ বুধবার বিধানসভায় সরকারের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেওয়া হবে।
রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান বলেন, ‘‘দেরিতে হলেও সরকারের এই সিদ্ধান্ত ইতিবাচক।’’ বাম পরিষদীয় দলের নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আমরা আগেই বিধানসভা বিষয়টি উল্লেখ করেছিলাম। গত সপ্তাহেও মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছি।’’ রাজ্য আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা অংশের জন্য প্রয়োজনীয় সংশাপত্রের ব্যবস্থা না করার এ বার রাজ্যের ছাত্রছাত্রীরা সর্বভারতীয় পরীক্ষায় সংরক্ষণের সুযোগ নিতে পারেননি। এই বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংরক্ষণের বাইরে থাকা ছাত্রছাত্রীদের সুযোগ যাতে না কমে তা নিশ্চিত করতে হবে। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে ডাক্তারিতে এমসিআই যে অতিরিক্তি ৪৫০ আসন অনুমোদন করেছে, তা চালু করে সেই ভারসাম্য রক্ষার অনুরোধও জানিয়েছেন সুজনবাবু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy