বিভিন্ন সময়ে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) কারচুপির অভিযোগ উঠেছে। মধ্যপ্রদেশের ঘটনা সেই বিতর্ককে উস্কে দিয়েছে। আর এ সব উদাহরণ সামনে রেখে ‘পাখি পড়া পড়ানো’ হচ্ছে এ রাজ্যের অফিসারদের। বলা হচ্ছে, এই ধরনের ঘটনা যাতে লোকসভায় না ঘটে।
দক্ষিণ কলকাতার একটি সার্কিট হাউসে রাজ্যের অফিসারদের প্রশিক্ষণ চলছে। সোমবার থেকে শুরু হওয়া প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার কথা আজ, বৃহস্পতিবার। সেখানে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন বিভিন্ন জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক, মহকুমাশাসক বা তাঁর থেকে সিনিয়র কোনও অফিসার। প্রতিটি জেলা থেকে দু’জন করে অফিসার শিবিরে রয়েছেন। প্রশিক্ষণ নেওয়ার পরে তাঁরাই রাজ্যস্তরে ‘মাস্টার ট্রেনার’ হিসেবে কাজ করবেন। ইভিএম, ভোটার ভেরিফায়েব্ল পেপার অডিট ট্রেল (ভিভিপ্যাট), বিধিবদ্ধ নিয়মকানুন, নির্বাচনী খরচ-সহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসার (সিইও) দফতরের কর্তারা।
প্রথম দিনের বিষয় ছিল ইভিএম আর ভিভিপ্যাট। সেখানে ইভিএম প্রসঙ্গে উদাহরণস্বরূপ উঠে এসেছে সাম্প্রতিক অতীতের বিভিন্ন নির্বাচনের ঘটনা। বাদ পড়েনি মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা ভোটের প্রসঙ্গও। কারণ, সেখানে দেখা গিয়েছে, ভোটকর্মীরা ইভিএম স্ট্রং রুমে নিয়ে যাওয়ার বদলে একটি হোটেল নিয়ে গিয়েছিলেন। আবার একটি ক্ষেত্রে ইভিএম দেরিতে স্ট্রং রুমে পৌঁছেছিল। আবার একটি জায়গায় ভোটকর্মীদের ‘ভুল’-এর জন্য পঞ্চাশের বেশি ভোট রেকর্ড হয়নি।
সিইও দফতরের কর্তাদের মতে, সব সময় যে প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে ইভিএমে গোলমাল হয়, তা নয়। অনেক সময় কর্মীদের ‘গাফিলতি’-ও থাকে। সেই কারণে বিভিন্ন গাইডলাইন, প্রটোকল, নিয়মকানুন তাঁরা বারবার মনে করিয়ে দিচ্ছেন প্রশিক্ষণ শিবিরে। সিইও দফতরের এক কর্তার কথায়, ‘‘আমাদের অজ্ঞতার জন্যই বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমস্যা হয়। আর তা যাতে না হয়, সে দিকে খেয়াল রাখতে একাধিকবার বলা হয়েছে।’’ কমিশনের কর্তাদের মতে, ইভিএমের প্রযুক্তিগত সমস্যার থেকেও বেশি হয় মনোসংযোগের ঘাটতি। তা-ও এই প্রশিক্ষণ পর্বে উল্লেখ করা হয়েছে। শিবিরে ইভিএমের প্রযুক্তিগত দিক বোঝাতে ইলেকট্রনিক্স কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া লিমিটেডের (ইসিআইএল) প্রতিনিধিরাও উপস্থিত থাকছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy