প্রতীকী ছবি।
এক সময়ে এমন ছিল, কোনও গ্রামে ঢোকার মুখে বিদ্যুতের খুঁটি বসলেই সেই গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে গিয়েছে বলে ধরে নেওয়া হতো। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ গিয়েছে কি না, তা যাচাইয়ের বালাই কার্যত ছিল না। পশ্চিমবঙ্গ-সহ বহু রাজ্যেই গ্রামীণ বিদ্যুদয়নের চিত্র ছিল এমনই। সেই সংজ্ঞাই এ বার বদলানোর সুপারিশ করল কেন্দ্রের শক্তি বিষয়ক সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটি। সংবাদ সংস্থা সূত্রের বক্তব্য, সম্প্রতি সংসদে একটি রিপোর্ট পেশ করেছে কমিটি। তাতে সুপারিশ করা হয়েছে, এ বার থেকে কমপক্ষে ৮০ শতাংশ ঘরে বিদ্যুৎ না পৌঁছলে কোনও গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে গিয়েছে বলে ধরা হবে না।
বর্তমানে গ্রামীণ বিদ্যুদয়নের যে সংজ্ঞা রয়েছে, তাতে কোনও গ্রামে সব মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ না পৌঁছলেও গ্রামটিকে বিদ্যুদয়নের আওতায় বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। যাতে বাস্তব চিত্র ফুটে উঠছে না বলেই মনে করছে কমিটি।
কেন্দ্রের দাবি, বিজেপি সরকার আসার পর থেকেই গ্রামীণ বিদ্যুদয়নে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। গত কয়েক বছরে ১৪ হাজারেরও বেশি গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। যে সমস্ত রাজ্য গ্রামীণ বিদ্যুদয়নে ভাল কাজ করছে, তাদের জন্য প্রচুর অর্থও বরাদ্দ করা হচ্ছে।
গ্রামীণ বিদ্যুদয়নের নিরিখে সারা দেশে প্রথম সারির কয়েকটি রাজ্যের মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। তবে এখনও সুন্দরবনের চারটি গ্রাম রয়েছে যেখানে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া যায়নি। রাজ্য সরকারের অবশ্য দাবি, পশ্চিমবঙ্গের ৯৯ শতাংশ গ্রামেই বিদ্যুৎ পৌঁছেছে। রাজ্যের এক বিদ্যুৎ-কর্তা জানাচ্ছেন, চাইলেই বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হচ্ছে। অধিকাংশ গ্রামেই ৮০ শতাংশের বেশি মানুষের ঘরে পৌঁছে গিয়েছে বিদ্যুৎ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy