জেলা স্কুল পরিদর্শক (ডিআই)-দের সঙ্গে স্কুলশিক্ষা দফতর ও স্কুলশিক্ষার কমিশনারেটের যোগাযোগ নিবিড় করার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করা হয়েছিল বেশ কয়েক মাস আগে। দ্রুত তথ্য আদানপ্রদান তো বটেই, সেই সঙ্গে আপৎকালীন মুহূর্তে কোনও আলোচনা এবং কোনও সমস্যা নিয়ে মতামত বিনিময়ের প্রয়োজনে দফতরের কর্তা ও ডিআই-দের নিয়ে তৈরি হয়েছিল ওই বিশেষ গ্রুপ। কিন্তু সেটা ক্রমেই নিছক ‘গুড মর্নিং’ বা সুপ্রভাত জানানোর গ্রুপে পরিণত হয়ে উঠছে বলে অভিযোগ। উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের দাড়িভিট হাইস্কুলের গোলমালের পরে এই নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।
দফতরের এক কর্তা জানান, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল পরিদর্শনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিআই-দের জন্য পৃথক ভাবে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু যে-উদ্দেশ্যে তা তৈরি হয়, সেটা আর সফল হচ্ছে না। উত্তর দিনাজপুরের সাম্প্রতিক ঘটনা সম্পর্কে কমিশনারেট ওয়াকিবহাল ছিল না বলেই দাবি ওই কর্তার। অথচ ওই গ্রুপে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হলে সকলেরই নজরে আসত। তা হলে সমস্যা মেটানো যেতে পারত বলে মনে করেন তিনি।
শূন্য পদে নিয়োগ নিয়ে পরপর অভিযোগ উঠছে। সেই বিষয়েও ওই গ্রুপে তেমন কোনও আলোচনা হয়নি বলে জানান গ্রুপেরই এক সদস্য। তবে তিনি জানান, কোনও রকমের কমিকস পাঠানোর উপরে নিষেধাজ্ঞা ছিল। যে-হেতু গুড মর্নিং এবং তার সঙ্গে ছবি পাঠানোর ক্ষেত্রে পৃথক ভাবে কোনও নিষেধাজ্ঞার কথা বলা হয়নি, তাই রাশ টানা যায়নি।
বিকাশ ভবনের এক কর্তা জানান, ভাল উদ্দেশ্য নিয়ে হয় অনেক কিছুই। পরে পুরোটাই জলে যায়। যোগাযোগ ঠিকমতো না-হওয়ায় সমস্যা বাড়ছে। বদলি হয়ে যে-সব নতুন ডিআই দায়িত্ব নিচ্ছেন, তাঁদের অনেককে ওই গ্রুপে অন্তর্ভুক্তই করা হচ্ছে না। ‘‘পুরো গ্রুপটাই প্রায় অকেজো। মাঝেমধ্যে তথ্য আদানপ্রদান হয়। তার পরে ফের শীতঘুমে,’’ আক্ষেপ কনিশনারেটের এক অফিসারের। দফতরের অনেক কর্তার বক্তব্য, প্রযুক্তিকে হাতের কাছে পেয়েও কাজে না-লাগানো নেহাতই নির্বুদ্ধিতার শামিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy