Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
কুণাল-মামলা

তহবিল থাকতেও কেন স্তব্ধ প্রকল্প, প্রশ্ন হাইকোর্টের

বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে তাঁর সাংসদ তহবিলের টাকা খরচ করার জন্য কমবেশি ৩০০ সুপারিশ করেছেন কুণাল ঘোষ। অথচ কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করার পরে কলকাতা পুরসভার কর্তৃপক্ষ তার মধ্যে মাত্র সাতটি সুপারিশ রূপায়ণের ছাড়পত্র দিয়েছেন বলে অভিযোগ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০২:২১
Share: Save:

বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে তাঁর সাংসদ তহবিলের টাকা খরচ করার জন্য কমবেশি ৩০০ সুপারিশ করেছেন কুণাল ঘোষ। অথচ কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করার পরে কলকাতা পুরসভার কর্তৃপক্ষ তার মধ্যে মাত্র সাতটি সুপারিশ রূপায়ণের ছাড়পত্র দিয়েছেন বলে অভিযোগ। টাকা খরচে ক্রমাগত দেরি হতে থাকায় শুক্রবার ফের ক্ষোভ প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট। তাদের প্রশ্ন, কুণালবাবুর সাংসদ কোটার টাকায় উন্নয়নের প্রকল্পগুলি আর কত দিন ঝুলিয়ে রাখা হবে?

পুর-কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পে ওই টাকা খরচের প্রক্রিয়া চলছে। বিস্ময় প্রকাশ করে বিচারপতি দেবাংশু বসাক পুর কৌঁসুলিকে প্রশ্ন করেন, ‘‘প্রক্রিয়া চলার মানে কী?’’ পুর-কর্তৃপক্ষকে তাঁর নির্দেশ, ওই তহবিলের টাকা যাঁদের পাওয়ার কথা, সোমবারের মধ্যে চিঠি পাঠিয়ে এই বিষয়ে তাঁদের অবহিত করাতে হবে। সেই চিঠি যে পাঠানো হয়েছে, তার প্রমাণপত্র আদালতে পেশ করতে হবে মঙ্গলবার। সে-দিনই শুনানি হবে।

কুণালবাবু ২০১৩ সাল থেকে তাঁর সাংসদ কোটার টাকা যে-সব প্রকল্পে খরচ করার সুপারিশ করেছিলেন, তার অধিকাংশই অনুমোদন না-পাওয়ায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তৃণমূলের ওই সাসপেন্ড হওয়া সাংসদ। ওই সব প্রকল্পকে ছাড়পত্র দেওয়ার জন্য বিচারপতি বসাক এর আগে দু’বার পুর-কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও তা কার্যকর হয়নি বলে অভিযোগ করেন কুণালবাবুর কৌঁসুলি শুদ্ধসত্ত্ব বন্দ্যোপাধ্যায় ও অয়ন চক্রবর্তী।

পুরসভার আইনজীবী অশোক বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন সকালে আদালতে জানান, ওই সাংসদ যে-সব প্রকল্পে টাকা খরচের সুপারিশ করেছেন, সেগুলো অনুমোদনের প্রক্রিয়া চলছে। তখনই ক্ষোভ প্রকাশ করে বিচারপতি বসাক নির্দেশ দেন, পুরসভার যুগ্ম কমিশনারকে (সাধারণ ও উন্নয়ন) এ দিনই বেলা ২টোয় আদালতে হাজির হয়ে জানাতে হবে, কোন কোন প্রকল্পে টাকা খরচের সুপারিশ কী অবস্থায় পড়ে আছে। পরে দেবব্রত ঘোষ নামে সেই যুগ্ম কমিশনার আদালতে হাজির হন।

দুপুরে মামলাটি ফের উঠলে দেবব্রতবাবুর সামনে পুর আইনজীবী একটি রিপোর্ট পেশ করে জানান, ঠিক হয়েছে, স্কুল-কলেজের উন্নয়ন প্রকল্প অগ্রাধিকার পাবে। কিছু প্রকল্পের অনুমোদন মেলেনি। কুণালবাবু বেশ কিছু প্রকল্পের সুপারিশ প্রত্যাহারও করে নিয়েছেন। কয়েকটি প্রকল্পে যাঁদের সুবিধে পাওয়ার কথা, চিঠি দিয়ে তাঁদের তা জানানো হয়েছে। বিষয়টি জানানো হয়েছে কুণালবাবুকেও।

এই বক্তব্যের বিরোধিতা করে কুণালবাবুর আইনজীবীরা জানান, তাঁদের মক্কেলকে যে ওই সব বিষয় জানানো হয়েছে, তার প্রমাণ আদালতে দাখিল করা হোক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Project Funding Kunal Ghosh
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE