Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

হকার বিধি হল, বলবৎ করবেন কে

শিশু শ্রম বন্ধের নীতি হকারির ক্ষেত্রেও বলবৎ করছে রাজ্য

  ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০১৮ ০৪:৩৯
Share: Save:

শিশু শ্রম বন্ধের নীতি হকারির ক্ষেত্রেও বলবৎ করছে রাজ্য সরকার। নতুন হকার নীতিতে বলা হয়েছে, পুর এলাকায় ১৮ বছরের নীচে কেউ হকারি করতে পারবেন না।

এই ধরনের নানান বিধির কথা বলা হয়েছে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের প্রকাশিত নতুন হকার নীতিতে। সেই নীতিতে হকারদের বৈধতা দিতে পুর লাইসেন্স দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে, তাঁদের নিয়ন্ত্রণের অধিকারও থাকছে পুরসভাগুলির হাতে। পুলিশ হকার নিয়ন্ত্রণের জন্য পুরকর্তাদের সাহায্য করবে বলেও সরকারি নীতিতে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, নীতি তো হল, বলবৎ করবেন কে বা কারা? উত্তরে মোনী থাকার রাস্তাই নিয়েছেন পুরকর্তারা।

নতুন নীতি জানাচ্ছে: • কলকাতা, হাওড়া-সহ রাজ্যের পুর নিগম, পুরসভা বা উন্নয়ন পর্ষদ এলাকায় ১৮ বছরের কম বয়সের কাউকে হকারি করতে দেওয়া হবে না। • কোনও বাড়ি বা দোকানের দরজা আটকে হকারেরা বসতে পারবেন না। • যে-রাস্তায় হকার বসবেন, তার দুই-তৃতীয়াংশ পথচারীদের জন্য ছেড়ে রাখতে হবে। • গাড়ি চলাচলের সমস্যা হয়, এমন কোথাও হকার বসতে পারবেন না। • স্কুল, কলেজ ও হাসপাতালের আশেপাশে হকার বসার ক্ষেত্রে পুর-কর্তৃপক্ষকে বিশেষ নজর দিতে হবে।

নতুন নীতি অনুযায়ী পুর এলাকার বিশিষ্ট জনেদের নিয়ে গড়া হবে টাউন ভেন্ডিং কমিটি। কোনও শহরে কোথায় কত হকার বসবেন, ওই কমিটিই তা নির্দিষ্ট করবে। দেওয়া হবে হকারদের নির্দিষ্ট নম্বর। বিধি না-মানলে হকারদের লাইসেন্স বাতিলের ক্ষমতাও থাকবে কমিটির হাতে। তবে কমিটির সিদ্ধান্ত পছন্দ না-হলে হকারেরা মেয়র বা পুরপ্রধানের কাছে আবেদন জানাতে পারবেন।

অনেকেরই প্রশ্ন, যদি দোকান বা বাড়ির দরজা আটকে হকারদের বসতে দেওয়া না-হয়, ফুটপাতের দুই-তৃতীয়াংশ ছেড়ে দিয়ে হকার বসানোর নীতিই যদি নেওয়া হয়, তা হলে কলকাতা বা হাওড়ার মতো শহরে আদৌ আর কোনও হকার থাকবেন তো? পুরকর্তারা নিরুত্তর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Child Labour Hawker Rule Law and Order
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE