রাজকন্যা শেষ পর্যন্ত কম পড়েনি গুপি গাইন বাঘা বাইনের ভাগ্যে। দু’জন কন্যাই ছিলেন রাজ অন্তঃপুরে। অতএব মধুরেণ সমাপয়েৎ...।
কিন্তু রাজ্য প্রশাসনের কাছে কি তদন্তযোগ্য মামলা কম পড়েছে? তা না হলে এ দিক ও দিক খুঁজে তদন্তের বিষয় আনতে হচ্ছে কেন? যেমন এই নারদ কাণ্ড। কলকাতা হাইকোর্টের তত্ত্বাবধানে একটা তদন্ত চলছে জেনেও ঢাকঢোল পিটিয়ে সমান্তরাল তদন্তের পথে আদৌ যে কেন গেল রাজ্য, এই সহজ প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাচ্ছিল না। ভুল বললাম! সহজ এই প্রশ্নটাও বা তেমন উঠল কোথায়? প্রশ্ন তুলল হাইকোর্ট এবং আপাতত অবিলম্বে রাজ্যের এই তদন্ত বন্ধের নির্দেশ দিল। এই ক’দিনের যাবতীয় উদ্যোগ, তৎপরতা, জেরা, ক্রমাগত ইমেল পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আমন্ত্রণ, এত হই হই রই রই— কোনও প্রয়োজন ছিল?
নোবেল-তদন্ত। একই পঙ্ক্তিতে পড়বে না ঠিকই। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ঘিরে বাঙালির আবেগ, তার প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর সম্মানবোধ, নোবেলচুরি ও সেই রহস্যের কিনারা না-হওয়ায় জাতির ক্ষোভ— এ সবই অত্যন্ত পবিত্র। কিন্তু সিবিআই দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ তদন্তকারী সংস্থা হিসাবে যদি কিনারায় অসফল হয়, তার পর এত দিন পরে নতুন করে তদন্তে সত্যিই আশার আলোর সম্ভাবনা থাকে? রহস্যভেদ হোক, গোটা দেশ সেটাই চায়, রবীন্দ্রনাথ আমার যতটা, ততটা গোটা দেশেরই। কিন্তু সিবিআই তদন্ত গুটিয়ে নেওয়ার পর সম্ভব আর কিছু? বারো বছর পর?
আমরা, বাঙালিরা, আবেগপ্রবণ জাতি। আমাদের আবেগে টান দিচ্ছেন হয়ত মুখ্যমন্ত্রী, কিন্তু যুক্তিতে তেমন পারা যাচ্ছে না। যুক্তি বলছে তদন্তযোগ্য মামলা কম নেই রাজ্যে। সেগুলোতে মন দিক সরকার। আবেগের কমতি হবে না সেক্ষেত্রেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy