বাংলার ভারপ্রাপ্ত এআইসিসি নেতা গৌরব গগৈ।—ফাইল চিত্র।
রাফাল কেলেঙ্কারির অভিযোগ এবং সিবিআইয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের ‘অন্যায় হস্তক্ষেপে’র বিরুদ্ধে তৃণমূল কেন নীরব, সেই প্রশ্ন তুলে এক সুরে সরব হলেন কংগ্রেস নেতারা। পাশাপাশি ডাক দেওয়া হল সব নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে পথে নামার। শেওড়াফুলিতে রবিবার হুগলি জেলা কংগ্রেসের কর্মিসভা থেকে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধেও সুর চড়িয়েছেন তাঁরা। এআইসিসি-র দুই নেতা গৌরব গগৈ ও শরৎ রাউত, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র, প্রদীপ ভট্টাচার্য, দীপা দাশমুন্সি, অমিতাভ চক্রবর্তী, সন্তোষ পাঠক— এত নেতাকে এক মঞ্চে এনে কোনও জেলা কংগ্রেসের কর্মিসভা সাম্প্রতিক কালে প্রথম। কর্মিসভার মূল আয়োজক ছিলেন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান।
মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যাচারে’র অভিযোগ তোলার পাশাপাশিই সোমেনবাবুর অভিযোগ, ‘‘রাফাল কেলেঙ্কারি, নোটবন্দি, সিবিআই নিয়ে রাহুল গাঁধী সরব হচ্ছেন। কিন্তু তৃণমূলের গলায় আওয়াজ নেই। আবার সারদা, নারদ-কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের অগ্রগতি নেই।’’ শাসক দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অবশ্য ব্যাখ্যা, ‘‘আমরা কেন্দ্রের পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতির বিরুদ্ধে। নোট বাতিলের বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই প্রথম সরব হয়েছেন। সাধারণ মানুষের যেখানেই ভোগান্তি, সেখানেই প্রতিবাদ করছে তৃণমূল।’’
বাংলার ভারপ্রাপ্ত এআইসিসি নেতা গৌরব কর্মিসভায় বলেন, ‘‘রাজ্যের সব নেতা একজোট হয়ে পথে নামলে কর্মীরা ফের আমাদের দিকে আসবেন। এআইসিসি-ও এখন কর্মীদের কাছে পৌঁছবে।’’ দলের প্রতি ‘বীতশ্রদ্ধ’ তৃণমূল কর্মীদের কংগ্রেসে ফেরার ডাক দেন প্রদীপবাবু। আর রাজ্যে তৃণমূল এবং কেন্দ্রে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সমান ভাবে লড়াইয়ের আহ্বান জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy