এই বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয় দু’জনের দেহ। নিজস্ব চিত্র
রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটকের দাদার স্ত্রী-মেয়ের পচাগলা দেহ মিলল বাড়িতে। সোমবার দুপুরে আসানসোলের হিন্দুস্তান পার্কে বাড়ির দরজা ভেঙে পুলিশ দেহ দু’টি উদ্ধার করে। কী ভাবে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে, সে নিয়ে ধন্দে পুলিশ।
২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে আসানসোলে দামোদরে তর্পণ করতে গিয়ে তলিয়ে মৃত্যু হয় মলয়বাবুর দাদা, আইনজীবী অসীম ঘটকের। পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তার পর থেকে হিন্দুস্তান পার্কের বাড়িটিতে মেয়ে কস্তুরীকে (৩৫) নিয়ে থাকতেন অসীমবাবুর স্ত্রী জয়ত্রী ঘটক (৬৫)। এ দিন দুপুরে এক আনাজ বিক্রেতা ওই বাড়িতে গিয়ে ডাকাডাকি করেন। সাড়া না পেয়ে বাড়ির জানলা দিয়ে উঁকিঝুকি দেন তিনি। দুর্গন্ধ নাকে আসায় আশপাশের লোকজনকে খবর দেন।
এর পরেই প্রতিবেশীরা বাড়ির সামনে জড়ো হন। খবর দেওয়া হয় অসীমবাবুর ভাই, আসানসোলের মেয়র পারিষদ অভিজিৎ ঘটককে। পৌঁছয় আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশও। পুলিশ জানায়, বাড়ির দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। তা ভেঙে ভিতরে ঢুকে দেখা যায়, একটি ঘরে বিছানায় পড়ে রয়েছে মা-মেয়ের দেহ। দেহে পচন ধরে গিয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, দিন দুয়েক আগে মৃত্যু হয়েছে দু’জনের।
এ দিন আসানসোলে ছিলেন না মন্ত্রী মলয়বাবু। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। অভিজিৎবাবুর দাবি, দাদা অসীমবাবুর মৃত্যুর পর থেকেই বৌদি ও ভাইঝি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। কারও সঙ্গে বিশেষ যোগাযোগ রাখতেন না। প্রতিবেশীদেরও দাবি, তাঁদের সঙ্গে তেমন সম্পর্ক রাখতেন না মা-মেয়ে। অবসাদে তাঁরা আত্মঘাতী হয়ে থাকতে পারেন বলে পরিজন ও পড়শিদের ধারণা।
পুলিশ জানায়, দেহ ময়না-তদন্তের জন্য আসানসোল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার রিপোর্ট পেলেই মৃত্যুর কারণ বোঝা যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy