ছিতামণি ও নিয়তি। —ফাইল চিত্র।
মহিলা সংগঠন নেই লালগড়ে। তাই বৈঠক ডেকেছিল তৃণমূল। শাসক দল সূত্রের খবর, রবিবারের সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলবন্দি জনসাধারণ কমিটির নেতা ছত্রধর মাহাতোর স্ত্রী নিয়তি।
শুধু নিয়তি নন। ওই সভায় ছিলেন পুলিশের মারে বাঁ চোখের দৃষ্টি হারানো ছিতামণি মুর্মুর মতো অনেকেই, যাঁরা বাম আমলে জঙ্গলমহলে ‘পুলিশি জুলুমে’র বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা প্রতিবাদ-আন্দোলনের পুরোভাগে ছিলেন।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে নিয়তি তৃণমূলের প্রচার মিছিলে হেঁটেছিলেন। ছত্রধর-নিয়তির বড় ছেলে ধৃতিপ্রসাদ সমবায় ব্যাঙ্কে চাকরি পেয়েছেন। ছোটছেলে দেবীপ্রসাদ জুনিয়র কনস্টেবল পদে নিয়োগের পরীক্ষা দিয়েছেন। এমন আবহে তৃণমূলের কমিটি গঠনের সভায় নিয়তির উপস্থিতি নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।
নিয়তির উপস্থিতি নিয়ে মন্তব্য এড়িয়ে গিয়েছেন দলের নেতা-নেত্রীরা। ঝাড়গ্রাম জেলা মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী সঞ্চিতা ঘোষ শুধু বলেন, “লালগড়ের বিভিন্ন এলাকার মহিলাদের নিয়ে প্রস্তুতি বৈঠক হয়েছে। জেলার আটটি ব্লকের মধ্যে লালগড় বাদে সাতটিতেই মহিলা তৃণমূলের কমিটি রয়েছে। লালগড় ব্লক মহিলা তৃণমূলের কমিটি গড়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।” আর নিয়তি বলছেন, ‘‘আমলিয়া গ্রামের ‘মা জননী স্বসহায়ক দলে’র দলনেত্রী হিসেবে আমাকে ওই বৈঠকে ডাকা হয়েছিল। শাসক দলের সাংগঠনিক পদের জন্য আমার কোনও মোহ নেই। আগে স্বামী মুক্তি পেয়ে বাড়ি ফিরুন।”
এ দিন লালগড়ের স্কুলে বৈঠক হলেও ব্লকের মহিলা তৃণমূলের কমিটি গঠিত হয়নি। এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন শীর্ষ নেতৃত্ব। ১৮ নভেম্বর ঝাড়গ্রামে আসতে পারেন তৃণমূলের মহাসচিব তথা জেলার দলীয় পর্যবেক্ষক পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এ দিন বৈঠকে সঞ্চিতা ছাড়াও ছিলেন জেলা চেয়ারম্যান সুকুমার হাঁসদা, ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের সভাধিপতি মাধবী বিশ্বাস, লালগড় ব্লক তৃণমূলের সভাপতি শ্যামল মাহাতো।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy