দুর্গাপুরের স্টেশন বাজার এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে দেখা গিয়েছে এই দাঁতালটিকে। নিজস্ব চিত্র।
ডুয়ার্সের জঙ্গল বা পুরুলিয়ার কোনও প্রত্যন্ত এলাকা নয়। খাস শিল্পনগরীর রাস্তায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে দু’টো বুনো দাঁতাল। সেই হাতির ছবি তুলতে মোবাইল ক্যামেরা অন করে ছুট লাগালেন কেউ। কেউ আবার বিষয়টার বর্ণনা দিতে ভিডিও কলই করে ফেললেন! হাতির দেখা মেলায় বুধবার সকাল থেকে এ ভাবেই উত্তেজনা ছড়াল দুর্গাপুর স্টেশন সংলগ্ন এলাকায়। শহরের রাস্তায় হাতি দেখে থমকে দাঁড়াল পথচলতি মানুষ।
প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায়, শহরে হাতি ঢুকেছে খবর পেয়ে বহু পথচলতি মানুষই ভিড় জমান। উত্তেজিত হয়ে কয়েক জন হাতির খুব কাছাকাছি চলে গিয়েছিলেন। এলাকাবাসীদের কয়েক জনকে হাতি তাড়া করেছে বলেও জানা গিয়েছে। হাতি তাড়াতে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন বন দফতরের কর্মীরা।
হাতি দু’টি কোথা থেকে এল সেই বিষয়ে কোনও সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন বনকর্তারা। তবে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, বাঁকুড়া থেকে দামোদর নদী পেরিয়ে শহরে ঢুকে আসে হাতি দু’টি। বন দফতরের এক কর্মী জানিয়েছেন, মাস খানেক ধরে পানাগড়ের জঙ্গলে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে একটা দাঁতাল। হাতি দু’টির একটি সেখান থেকেও আসতে পারে।
দেখুন ভিডিও:
আরও পড়ুন:
গ্রামে অস্ত্রে শান দেওয়ার যন্ত্র নেই, তা-ই নাকি ওরা শহরে!
মাসে দশ লাখ চান হাসিন, তলব শামিকে
হাতি দু’টিকে শেষ দুর্গাপুর শহরের বাইরে বামুনারা এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। তার পর থেকেই তাদের আর কোনও খোঁজ মেলেনি। তবে, এলাকাবাসীদের কয়েক জন হাতি দু’টিকে নিউ টাউনশিপ থানা এলাকার এবিএল জঙ্গলে ঢুকতে দেখেছেন বলে বন দফতর সূত্রে খবর। আপাতত, জঙ্গল ঘিরে পাহারায় রয়েছেন বন দফতরের কর্মীরা।
দিন কয়েক আগে পানাগড়ের সেনা ছাউনিতে হাতির হানায় গুরুতর জখম হন এক বনকর্মী। বর্তমানে রাজবাঁধের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে। বন দফতর জানিয়েছেন, মাস খানেক ধরে পানাগড়ের জঙ্গলেই আস্তানা গেড়েছিল হাতিটি। তার খোঁজ পেতে রীতিমতো নাস্তানাবুদ হতে হয়েছে বনকর্মীদের। তবে হাতিটিকে ধরা যায়নি। সেই হাতিটিই পানাগড়ের জঙ্গল ছেড়ে দুর্গাপুরে ঢুকে এসেছে কি না সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy