—ফাইল চিত্র।
বিজেপির ঘোষিত তালিকায় কার্যত ‘উপেক্ষিত’ হয়ে শোভন চট্টোপাধ্যায় কি আবার তাঁর পুরনো দল তৃণমূলের সঙ্গে সংযোগ তৈরি করবেন? রাজনৈতিক শিবিরে বুধবার সারা দিন এই জল্পনা ঘুরেছে। তাঁর ঘনিষ্ঠ বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম এ যাবৎ প্রকাশিত বিজেপির কোনও কমিটিতেই নেই। যে হেতু বৈশাখীর ‘উপযুক্ত মর্যাদা’ শোভনের বিবেচনার একটি বড় বিষয়, তাই এ ক্ষেত্রে বিজেপির সঙ্গে কীসের ভিত্তিতে শোভন-বৈশাখীর বোঝাপড়া এগোবে, সেটাও পর্যবেক্ষক মহলে বড় প্রশ্ন।
শোভন বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যেই দল ছাড়তে চেয়ে চিঠি দিয়েছিলেন। যদিও সেই চিঠির কোনও পরিণতি হয়নি। শোভন বিজেপির কোনও কর্মসূচিতে যোগও দেননি। তৃণমূলের তরফে কখনও পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কখনও ফিরহাদ হাকিম শোভনের বাড়ি গিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন। আবার রাজ্য বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়, সহ-পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেননও বিভিন্ন সময়ে শোভনের বাড়ি গিয়েছেন। গত ২৪ অগস্ট মেনন শেষ বার শোভনের বাড়ি যান। তার ১৫ দিন পরে মঙ্গলবার বিজেপির রাজ্য কমিটি ঘোষণা হয়েছে।
তৃণমূলের একটি সূত্রের দাবি, দীর্ঘদিন সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে শোভন যে ভাবে ‘দর কষাকষি’ করছেন, তা কখনওই কোনও দায়িত্বশীল নেতার ‘শোভন’ আচরণ হতে পারে না। তৃণমূল এবং বিজেপি দু’দিকেই তিনি রাস্তা খোলা রেখে যা করছেন, তাকে ‘ব্ল্যাকমেলিং’ বলা যেতে পারে।
এই অবস্থায় শোভনের জন্য তৃণমূলের দরজা কি তা হলে বন্ধ থাকবে? সূত্রের খবর, যদি কিছু করতে হয়, তবে শোভনকেই এখন সরাসরি সেটা করতে হবে। তবে তৃণমূলের ক্ষেত্রে শেষ সিদ্ধান্ত অবশ্য নির্ভর করবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy