উষ্ণতার খোঁজে: শীতের কামড়। বর্ষশেষের রাতে ধর্মতলায়। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য
আরও একটু চড়েছে পারদ। তবে সোমবার, ২০১৮ সালের শেষ দিনে কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের দু’ডিগ্রি নীচেই ছিল। তাই হাড়ের কাঁপুনি বন্ধ হলেও মহানগরীতে শীতের উপস্থিতি বেশ ভাল ভাবেই মালুম হয়েছে। দূরের জেলাগুলিতে যথারীতি কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছে শীত। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আজ, মঙ্গলবার, ইংরেজি নতুন বছরে কলকাতা-সহ রাজ্যের প্রায় সর্বত্রই শীতের দেখা মিলবে।
সোমবার কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দমদমে ১২.৪ এবং ব্যারাকপুরে ৯.৩ ডিগ্রি। গাঙ্গেয় বঙ্গের জেলাগুলিতে সব থেকে কম তাপমাত্রা ছিল পুরুলিয়ায়— ৭.৪ ডিগ্রি। উত্তরবঙ্গে শিলিগুড়িতে রাতের তাপমাত্রা ৪.৮ ডিগ্রিতে নেমেছে। এ দিন দার্জিলিঙের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শীতের দাপট এ বার শুরু হয়েছে বড়দিনের পর থেকেই। এক দশক পরে তুষারপাত হয়েছে দার্জিলিঙের ম্যালে। বরফ পড়েছে কালিম্পং, সোনাদা, মিরিকের একাংশেও। ডুয়ার্সেও কড়া ঠান্ডা। পিছিয়ে নেই গাঙ্গেয় বঙ্গও। পুরুলিয়া-বাঁকুড়ার মতো পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলি তো বটেই, কলকাতার অদূরে ব্যারাকপুরেও দিন দুয়েক আগে রাতের তাপমাত্রা নেমে গিয়েছিল ৭ ডিগ্রির কাছে! ‘‘আগামী কয়েক দিন শীত এমনই থাকবে,’’ এ দিন আশ্বাস দিয়েছেন আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস।
দিল্লির মৌসম ভবন জানাচ্ছে, ঝাড়খণ্ড, বিহারে ধুন্ধুমার ব্যাট করছে শীত। গয়ায় এ দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২.৯ সেলসিয়াস। রাঁচীতে ৬.১ ডিগ্রি। উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম ভারতের বাসিন্দারা শীতের দাপটে ঠকঠক করে কেঁপেই চলেছেন।
শ্রীনগরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রয়েছে হিমাঙ্কের ৪.৮ ডিগ্রি নীচে। রাজধানী দিল্লিতে রাতের পারদ থিতু হয়েছে ৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
আবহবিদেরা জানাচ্ছেন, ইংরেজি নববর্ষের প্রথম দিনে উত্তর, উত্তর-পশ্চিম ও মধ্য ভারতের একাংশে শৈত্যপ্রবাহ চলবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy