আত্মঘাতী কনস্টেবল সোমা ঘোষ।
থানার মধ্যেই ওড়নার ফাঁস জড়িয়ে আত্মঘাতী হলেন এক মহিলা কনস্টেবল। উত্তর ২৪ পরগনার গাইগাটায়।
পুলিশ জানাচ্ছে, মৃতার নাম সোমা ঘোষ। তাঁর বয়স ২৭ বছর। গাইঘাটা থানার ফুলসরা গ্রামে তাঁর শ্বশুরবাড়ি থেকে বেরিয়ে মঙ্গলবার সকাল ন’টা নাগাদ সোমা পৌঁছন গাইঘাটা থানায়। গত এক বছর ধরে ওই থানাতেই ছিল তাঁর ‘পোস্টিং’। ডিউটি শুরুর আগে তিনি তাঁর মহিলা কর্মীদের সঙ্গে কিছু ক্ষণ হাসি-ঠাট্টা, গল্পগুজব করেন। তার পর পুলিশের উর্দি পরার জন্য থানায় মহিলাদের বিশ্রামাগারে যান সোমা। তার পর বেশ কিছু ক্ষণ সোমার সাড়াশব্দ না শুনে তাঁরই এক মহিলা সহকর্মী সোমার খোঁজ করতে যান বিশ্রামাগারে। গিয়ে দেখেন, ভেতর থেকে ঘরের কাচের দরজা বন্ধ। তার পর ঘরের জানলা ভেঙে দেখা যায়, সোমা ওড়নার ফাঁস জড়িয়ে সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছেন। সঙ্গে সঙ্গে অন্য সহকর্মীরা ছুটে এসে সোমাকে নিয়ে যান বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। সেই খবর শুনে গাইঘাটা থানার আরেক কনস্টেবল, সোমার সহকর্মী স্মৃতি মণ্ডল অচৈতন্য হয়ে পড়েন। তাঁকে চাঁদপাড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়।
আরও পড়ুন- আবার সেই কলঙ্কের রাত
উত্তর ২৪ পরগনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তরুণ হালদার বলেছেন, ‘‘সোমা অনেক দিন ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। ২০১২ সালে তাঁর বিয়ে হয়। সোমার একটি শিশুপুত্র রয়েছে। তাঁর স্বামী পার্থ ঘোষ ঝাড়গ্রাম জিআরপি-তে কর্মরত। ভোটের সময় সোমাকে উত্তরবঙ্গে পাঠানো হয়েছিল ডিউটিতে। কিন্তু সেখানে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায়, তাঁকে তড়িঘড়ি ফিরিয়ে আনা হয়েছিল গাইঘাটা থানায়।’’
তবে গাইঘাটা থানার রামপুর গ্রামে সোমার বাপের বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, বেশ কিছু দিন ধরেই সোমার ওপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চালানো হচ্ছিল তাঁর শ্বশুরবাড়িতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy