প্রতীকী ছবি।
জ্বর-সর্দি কিংবা জীবাণু সংক্রমণ রুখতে প্রচার চলে। এ বার সরকারি স্তরে মানসিক সমস্যা নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর কাজ শুরু হয়েছে। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘জনমানসে’। এই প্রকল্পে শামিল করা হচ্ছে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পর্যাপ্ত ক্লিনিকাল সাইকোলজিস্টের অভাব এবং পরিকাঠামোর সমস্যার জেরে বহুলাংশে মানসিক স্বাস্থ্য অবহেলিত হয়। তাই মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে প্রচারে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের হাতিয়ার করা হচ্ছে। প্রশিক্ষণ ও পরীক্ষার মাধ্যমে কয়েক জনকে নির্বাচন করে নির্দিষ্ট এলাকার দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। কোচবিহার থেকে রাজারহাট কিংবা দমদমের বিভিন্ন এলাকায় মহিলারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংসারের সমস্যা থেকে ছেলেমেয়ের পড়াশোনা— খুঁটিনাটি নানা বিষয় নিয়েই গল্প করছেন। গল্পের মধ্যেই সমস্যা চিহ্নিত করছেন। বাসিন্দাদের মানসিক স্বাস্থ্য কেমন রয়েছে জেনে তথ্যভাণ্ডার তৈরির কাজ করছেন তাঁরা। পাশাপাশি, মানসিক সমস্যায় চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কেও বোঝাচ্ছেন। কার চিকিৎসা প্রয়োজন সেটা চিহ্নিতকরণের কাজ করছেন।
পুরভবনে নির্দিষ্ট দিনে সরকারি সাইকোলজিস্ট উপস্থিত থাকছেন। সেখানে সমস্যা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। এই কাজের সঙ্গে যুক্ত এক কর্তা জানান, মানসিক স্বাস্থ্যের চিকিৎসকের কাছে যাওয়া হচ্ছে, সে কথা জানালে জটিলতা বাড়তে পারে। তাই কখনও বলা হয়, বাচ্চাদের খিটখিটে মেজাজ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে! আবার কখনও জানানো হয়, কাজ করতে কেন ইচ্ছে হয় না, তাই নিয়ে কথা হবে।
স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা জানান, এখনও সমস্ত পুরসভায় কাজ শুরু হয়নি। তবে দেড় বছরের মধ্যে সব জেলায় কাজ শুরুর পরিকল্পনা চলছে। মহারাষ্ট্র, গুজরাত, গোয়া, মেঘালয়ে মানসিক স্বাস্থ্য পরিষেবাকে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিষেবার আওতায় আনার কাজ শুরু হয়েছে।
স্বাস্থ্যভবনের কর্তারা জানান, বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের জন্য সরকারি শংসাপত্রের ব্যবস্থা রয়েছে। পড়াশোনা থেকে যাতায়াত, অনেক ক্ষেত্রেই সুবিধা পাওয়া যায় তাতে। কিন্তু বহু রোগী এ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নন। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের সে নিয়েও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। কী কী নথি যাচাই হবে, কোথায় শংসাপত্র পাওয়া যাবে সে সব জানানোর কাজও তাঁরা করছেন। সরকারের সঙ্গে রয়েছে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। তার তরফে রত্নাবলী রায় বলেন, ‘‘শারীরিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার আগে সতর্ক করার কাজ চলে। মানসিক রোগের ক্ষেত্রেও সেই সতর্কতা জরুরি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy