1
রাতের বেলায় নার্সিংহোম থেকে জানানো হয়েছিল ‘এবি পজিটিভ’ গ্রুপের রক্ত চাই। রাতভর সেই গ্রুপের রক্ত জোগাড় করতে পারেননি জন্ডিসে আক্রান্ত যুবকের পরিবার। ভোর রাতে ওই যুবকের শারীরিক পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায়, তাঁর পরিবারকে ডেকে পাঠানো হয়। পরিবারের সদস্যদের দাবি, তখন তাঁরা জানতে পারেন ‘এবি পজিটিভ’ নয়, প্রয়োজন ‘ও পজিটিভ’ গ্রুপের রক্ত। যুবকের বাবারই সেই গ্রুপের রক্ত। যদিও, তখন আর রক্ত দেওয়ার মতো সময় ছিল না বলে পরিবারের দাবি। বুধবার ভোরে অসুস্থ যুবকের মৃত্যু হয়। এমনই অভিযোগে কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃত যুবক ফজলুল ইসলামের পরিবার।
জলপাইগুড়ির বাবুপাড়ার নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতেই ফজলুলের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে বুধবার সকাল থেকে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় নার্সিংহোম লাগোয়া এলাকা। মৃতের পরিজনেরা নার্সিংহোমের এক তলায় ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। পাথর ছুড়ে দোতলা, তিনতলার কাচ ভেঙে দেয়। উত্তেজিতদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠি চালায়। বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয় এলাকায়। এক মহিলা-সহ পাঁচ জনকে আটক করেছে পুলিশ। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের অবশ্য দাবি, প্রথমেই ‘ও পজিটিভ’ গ্রুপের রক্তের কথাই নথিতে লেখা হয়েছিল। কোনও কারণে রোগীর পরিবার ভুল শুনে থাকতে পারেন বলে কর্তৃপক্ষের দাবি। হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ অত্যন্ত কমে যাওয়াতেই ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। তবে রোগীর পরিবারের ভিত্তিতে এক কর্মীকে শোকজ করা হয়েছে বলে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy