Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

অমিতের পাল্টা সভায় তৃণমূলের অভিষেক

অমিত শাহের পাল্টা হিসেবে ফের ‘যুবরাজ’কেই নামাচ্ছে তৃণমূল। বিরোধীরা যে যেখানে সভা-সমাবেশ করবে, তার পরপরই সেখানে পাল্টা সভা করার নীতি অনেক দিন ধরেই নিয়েছে তৃণমূল। এখন তাদের সেই সব পাল্টা কর্মসূচির মুখ দলের যুব সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

অমিত শাহের সভার জন্য তৈরি হচ্ছে মঞ্চ। ছবি: উদিত সিংহ।

অমিত শাহের সভার জন্য তৈরি হচ্ছে মঞ্চ। ছবি: উদিত সিংহ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০১৫ ০৩:০৭
Share: Save:

অমিত শাহের পাল্টা হিসেবে ফের ‘যুবরাজ’কেই নামাচ্ছে তৃণমূল।

বিরোধীরা যে যেখানে সভা-সমাবেশ করবে, তার পরপরই সেখানে পাল্টা সভা করার নীতি অনেক দিন ধরেই নিয়েছে তৃণমূল। এখন তাদের সেই সব পাল্টা কর্মসূচির মুখ দলের যুব সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত সপ্তাহে কালীঘাটে বৈঠকেও দলনেত্রী মনে করিয়ে দিয়েছেন, বিরোধীরা, বিশেষত বিজেপি রাজ্যের কোথাও কোনও কর্মসূচি নিলে তার পাল্টা কর্মসূচি নিতে হবে। সেই মতো কাল, মঙ্গলবার বর্ধমানে অমিত শাহ সভা করার পরের দিনই সেখানে সভা করতে চলেছে শাসকদল। বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ এর আগে উপ-নির্বাচনের প্রচার বা ধর্মতলায় সভা সেরে যাওয়ার পরে পাল্টা প্রচার ও সভায় তৃণমূলের মুখ ছিলেন অভিষেক। বর্ধমানেও ২১ জানুয়ারি দলের সভার মুখ তিনি। তৃণমূল সূত্রে খবর, থাকতে পারেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও সুব্রত বক্সীও।

বিজেপি-র জোরকদমে প্রস্তুতির মাঝেই রবিবার বর্ধমানে বেচারহাট লাগোয়া সভার মাঠ সরেজমিনে পরিদর্শন করলেন তৃণমূলের জেলা নেতারা। সভা নিয়ে রাজনৈতিক টক্করের কথা খোলাখুলি বলে গেলেন তাঁরা। বিধানসভার পরিষদীয় সচিব তথা জামালপুরের তৃণমূল বিধায়ক উজ্বল প্রামাণিকের দাবি, “ভাড়াটে সৈনিক দিয়ে যুদ্ধ জেতা সম্ভব নয়। বিজেপি বাইরে থেকে লোক এনে মাঠ ভরাবে। স্থানীয় লোক এনে মাঠ ভরিয়ে দেখাক, ওদের কত দম, কত রাজনৈতিক শক্তি। আমরা এই মাঠের চার দিকে জমে থাকা জঞ্জাল পরিষ্কার করে মাঠের আয়তন আরও বাড়িয়ে দেব। আমাদের দলের যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অন্য নেতাদের নিয়ে সভা হবে। এই মাঠে লোক ধরবে না।”

তৃণমূলের বর্ধমান জেলা (গ্রামীণ) যুব সভাপতি শান্তনু কোঙার আবার বলেন, “বিজেপি তো একটা কবাডি খেলার মঞ্চ করেছে। এত ছোট মঞ্চে আমাদের সভা হতে পারবে না। আমাদের আরও বড় মঞ্চ করতে হবে।” তৃণমূলের বর্ধমান শহর সভাপতি খোকন দাসের দাবি, “এইটুকু মাঠে বিজেপি কয়েকটি জেলার লোকেদের নিয়ে সভা করছে। আমরা তো এই মাঠ বর্ধমান শহর আর তার আশপাশের মানুষকে নিয়েই ভরিয়ে দেব। তাতেই প্রমাণ হবে, বিজেপির চেয়ে আমরা রাজনৈতিক ভাবে অনেক বেশি এগিয়ে রয়েছি।”

বিজেপির বর্ধমান জেলা সভাপতি (গ্রামীণ) দেবীপ্রসাদ মল্লিকের পাল্টা বক্তব্য, “আমরা চেয়েছিলাম শহরের মধ্যে উত্‌সব ময়দানের মতো বড় মাঠে সভা করতে। কিন্তু পুরসভা আমাদের ওই মাঠ দেয়নি। দিলে আমরাও দেখিয়ে দিতে পারতাম, কত লোক আনতে পারি।” তিনি আরও বলেন, “অমিত শাহ তো বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। তাই তাঁর সভায় শুধু বর্ধমানের মানুষ আসবেন কেন? আমাদের ওই সভায় যে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির নেতা-কর্মীরা আসবেন, তা আমরা আগেই ঘোষণা করেছি।” তাঁর দাবি, তৃণমূল লোক দেখিয়ে প্রমাণ করতে চাইছে, তারা রাজনৈতিক ভাবে এগিয়ে। কিন্তু তাঁদের সভায় আসার পথে মানুষজনকে যদি আটকানো না হয়, তবে যা ভিড় হবে তা এই শহর কখনও দেখেনি বলে দাবি করেন দেবীপ্রসাদবাবু। নানা জায়গায় সভায় না আসার জন্য তাদের কর্মীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে অভিযোগ করে রবিবার বর্ধমানের বিসি রোডে মিছিল করে থানায় বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। রাতে সভার মাঠ পরিদর্শন করেন দলের জেলা পর্যবেক্ষক প্রদীপ ঘোষ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

amit shah burdwan abhisekh bandopadhay rally
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE