নববর্ষে এত উষ্ণতা গত এক দশকে পায়নি কলকাতা! হাওয়া অফিস সূত্রের খবর, শুধু কলকাতা নয়, গত এক দশকে ইংরেজি নববর্ষের দিন দক্ষিণবঙ্গের অনেক জায়গাতেই এত কম ঠান্ডা দেখা যায়নি। উপরি পাওনা হিসেবে এ বছর বৃষ্টিও হয়েছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে। ফলে বর্ষবরণের আনন্দে সঙ্গী হয়েছে ছাতাও।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮.৩ ডিগ্রি, এ সময়ের স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ ডিগ্রি বেশি! শীত-মানচিত্রে এ রাজ্যের তারকা শ্রীনিকেতন বা পানাগড়ের হালও খারাপ। সেখানেও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। এর জন্য বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত নিম্নচাপকেই দায়ী করেছেন আবহবিদেরা। এ দিন যার অবস্থান ছিল ওড়িশা উপকূলে।
আবহবিদেরা বলছেন, তামিলনাড়ু উপকূলে নিম্নচাপ দানা বাঁধা ইস্তক নিম্নচাপ অক্ষরেখা দক্ষিণবঙ্গ পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছিল। আকাশ মেঘলা থাকার ফলে রাতের তাপমাত্রাও স্বাভাবিকের নীচে নামতে পারছিল না। নিম্নচাপটি ক্রমশ পূর্ব উপকূলের দিকে সরায় দক্ষিণবঙ্গের আকাশে বেড়েছে মেঘ। হয়েছে বৃষ্টিও।
নববর্ষের সকালে চেনা রোদ বা কনকনে শীত যে পাওয়া যাবে না, আগেই জানিয়ে দিয়েছিল হাওয়া অফিস। কিন্তু সকাল থেকেই যে আকাশ এমন আষাঢ়-শ্রাবণের মতো হয়ে উঠবে, তা ভাবেননি কেউই। ভরা পৌষে শীত উধাও হওয়ায় কিছুটা মুষড়ে শীত-প্রত্যাশীরা। অনেকের আশা, রাত পোহালেই নামতে শুরু করবে পারদ। কনকনে উত্তুরে হাওয়া মেখে নববর্ষ সপ্তাহ পালন করা যাবে। বিজ্ঞানীদের গলায় অবশ্য কিছুটা হতাশাই। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গোকুলচন্দ্র দেবনাথ জানিয়েছেন, শুক্রবার তাপমাত্রা আরও বাড়বে। বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে। “আরও দিন কয়েক আকাশ মেঘলা এবং দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে বেশ কিছুটা কম থাকবে। শীত-শীত ভাব থাকলেও গুমোট কাটবে না।” —বলছেন তিনি।
অর্থাত্ নতুন বছর শুরু হলেও এখনই খুলছে না শীতের ভাগ্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy