যন্ত্রে পণ্য খালাসে পারদর্শী এবিজি-কে বিতাড়নের পর কোদাল-বেলচার যুগে ফেরা হলদিয়া ডকের দুটি বার্থে পণ্য ওঠানামা যখন চোখে পড়ার মতো কমেছে, তখন যন্ত্র বসিয়ে চলতি মরসুমে কলকাতা বন্দর রেকর্ড পরিমাণ বাক্সবন্দি (কনটেনার) পণ্য খালাস করল।
বন্দর এক প্রেস বিবৃতিতে জানিয়েছে, চলতি বছরে কলকাতা বন্দর দিয়ে ৫ লক্ষের বেশি বাক্সবন্দি পণ্য ওঠানো-নামানো হয়েছে। এর মধ্যে আমদানি হয়েছে ২ লক্ষ ৫৬ হাজার এবং রফতানি হয়েছে ২ লক্ষ ৪৩ হাজার বাক্সবন্দি পণ্য।
জাহাজি মহলের মতে, কলকাতা বন্দরের এই সাফল্য নজিরবিহীন। কারণ, বিশ্বজুড়ে চলা বাণিজ্যিক মন্দা, হুগলি নদীর নাব্যতা সমস্যা, লক গেট সমস্যার জন্য ডকের বাইরে জাহাজের
দীর্ঘ ক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা এবং জোয়ার-ভাটার উপর নির্ভর করে জাহাজ চলাচলের ফলে কলকাতা বন্দরে পণ্য খালাসের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল নয় বলেই ধরে নেওয়া হয়।
সে হিসেবে চলতি বছরে ৫ লক্ষের বেশি বাক্সবন্দি পণ্য খালাস হওয়ার ঘটনা ব্যতিক্রমী বলে মনে করা হচ্ছে।
কলকাতা বন্দরের চেয়ারম্যান রাজপাল সিংহ কাহালোঁ অবশ্য বলেন, “এত প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও সাফল্য আসার কারণ প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া। কলকাতা ডকের তিনটি বার্থে পণ্য খালাস ব্যবস্থা পুরোপুরি যন্ত্রনির্ভর করা হয়েছে। চারটি মোবাইল হারবার ক্রেন-সহ আধুনিক যন্ত্রের মাধ্যমে পণ্য খালাস চালু হয়েছে। এর ফলে পণ্য ওঠানো-নামানো প্রায় ১৮% বেড়েছে।”
বন্দর কর্তাদের একাংশ জানিয়েছেন, হলদিয়া ডক থেকে যন্ত্রে পণ্য খালাসকারী সংস্থা এবিজিকে যখন চলে যেতে হয়েছে, তখন কলকাতা বন্দরে সিঙ্গাপুরের পিএসএ ইন্টারন্যাশনাল সংস্থাকে এনে চারটি মোবাইল হারবার ক্রেন বসাতে পেরেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। এক বছরও হয়নি এই সংস্থা কলকাতা বন্দরে কাজ করছে। কিন্তু অতি দ্রুত জাহাজ থেকে পণ্য খালাস হয়ে যাওয়ায় অনেক বেশি সংখ্যক জাহাজ কলকাতা ডকে আসতে পেরেছে। বেড়েছে পণ্য খালাসের পরিমাণ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy