Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
এনআরএস

হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও বহাল ইন্টার্নদের কর্মবিরতি

স্বাস্থ্য দফতরের কড়া হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও ইন্টার্নরা তাঁদের কর্মবিরতি চালু রাখলেন। অভিষেক কুমার নামে এক ইন্টার্নের গ্রেফতারের পরে শুক্রবার থেকেই আন্দোলনে নামেন এনআরএসের ইন্টার্নরা। শনিবার খোদ স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা সুশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া হুঁশিয়ারির তোয়াক্কা না করে রবিবারও কর্মবিরতি বজায় রাখলেন তাঁরা।

চলছে কর্মবিরতি। নিজস্ব চিত্র।

চলছে কর্মবিরতি। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০১৫ ০২:৪৭
Share: Save:

স্বাস্থ্য দফতরের কড়া হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও ইন্টার্নরা তাঁদের কর্মবিরতি চালু রাখলেন।

অভিষেক কুমার নামে এক ইন্টার্নের গ্রেফতারের পরে শুক্রবার থেকেই আন্দোলনে নামেন এনআরএসের ইন্টার্নরা। শনিবার খোদ স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা সুশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া হুঁশিয়ারির তোয়াক্কা না করে রবিবারও কর্মবিরতি বজায় রাখলেন তাঁরা।

হাসপাতাল সূত্রে খবর, এক মাস পরেই ইন্টার্নদের ডাক্তার হিসেবে রেজিস্ট্রেশন পাওয়ার কথা। এই পরিস্থিতিতে পুলিশের ধরপাকড়ের প্রতিবাদে কর্মবিরতি শুরু করেছেন তাঁরা। তদন্তে বাধা দিলে হবু ডাক্তারদের রেজিস্ট্রেশন আটকে দেওয়া হবে, স্বাস্থ্য দফতরের এই হুঁশিয়ারিতে ইন্টার্নরা এখন উভয় সঙ্কটে। কর্মবিরতির পথে হাঁটলে ফল যে উল্টো হতে পারে, তা টের পেয়ে রবিবার সারাদিনই নিজেদের মধ্যে বৈঠক করেছেন তাঁরা। অবশেষে ইন্টার্নদের তরফে অরুণাভ দে বলেন, “রেজিস্ট্রেশন পেতে সমস্যা হবে, এমন কোনও নোটিস আমরা পাইনি। নোটিস পেলে ভেবে দেখব।” স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা সুশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য এ দিনও নিজের বক্তব্যে অনড়। তিনি বলেন, “নোটিস দেওয়াটা সময়সাপেক্ষ। অধ্যক্ষাকে যা বলার বলেছি। হাসপাতাল ও তদন্তে বাধা দিলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তবে ইন্টার্নদের কর্মবিরতিতে রোগীদের সমস্যায় পড়তে হয়নি বলেই তাঁর দাবি।

এ দিন অ্যাকাডেমি ভবনের কাছে মাঠে সকাল থেকেই ছিল ইন্টার্নদের ভিড়। এ দিন অবশ্য হাতে লেখা প্ল্যাকার্ড ছিল না। কর্মবিরতি চললেও শনিবারের মতো অবস্থানে বসেননি কেউই। সকাল থেকেই ব্যস্ত থাকেন আলোচনাতেই। দুপুর আড়াইটে নাগাদ ইন্টার্নদের তরফে অরুণাভ দে বলেন, “পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, তা নিয়েই আলোচনা চলছিল। কর্মবিরতি চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে আমরা সকলেই একমত হয়েছি।”

এখনও পর্যন্ত কোরপান-হত্যায় সাত জন জুনিয়র ডাক্তার গ্রেফতার হয়েছেন। ইন্টার্নদের দাবি, আগে যাঁরা গ্রেফতার হয়েছেন, পুলিশ নিশ্চয়ই তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও তথ্য পেয়েছে। কিন্তু অভিষেক সম্পূর্ণ নির্দোষ হওয়াতেই এই পদক্ষেপ। তাঁদের বক্তব্য, ১৬ নভেম্বর, ঘটনার দিন অভিষেক শিশু ওয়ার্ডে ডিউডিতে ছিলেন। সিসিটিভি ফুটেজেও তা পরিষ্কার। তা হলে কী ভাবে তিনি এই খুনে জড়িত থাকতে পারেন, প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।

যদিও প্রকৃত প্রমাণ ছাড়া পুলিশের এই এলোপাথাড়ি গ্রেফতারের বিষয়ে কর্মবিরতি ছাড়া আর কোনও পদক্ষেপ এখনই তাঁরা নিচ্ছেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন ইন্টার্নরা। পুলিশ যদি নির্দোষ কাউকেই গ্রেফতার করে থাকে, তা হলে বিষয়টি পুলিশের উপরমহলে জানাচ্ছেন না কেন? সদুত্তর দিতে পারেননি আন্দোলনকারীরা। তাঁদের দাবি, শনিবার কলেজের অধ্যক্ষার সঙ্গে কথা হয়েছে। অভিষেকের মুক্তি ও পুলিশ যেন আর কাউকে এ ভাবে এলোপাথাড়ি গ্রেফতার না করে এই দুই দাবি নিয়ে সোমবারও তাঁরা অধ্যক্ষার কাছে সরব হবেন বলে জানান ইন্টার্নরা। তাঁদের নিরাপত্তার ব্যাপারে সম্পূর্ণ আশ্বাস মিললে তবেই কর্মবিরতি উঠবে বলেও জানান তাঁরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE