টাইগার
প্র: হিরো-সুপারহিরো ছেড়ে এ বার আপনি স্টুডেন্টের ভূমিকায়... আপনার লুক নিয়ে তো বিরাট চর্চা!
উ: মণীশ মলহোত্র আমার লুক ডিজ়াইন করেছেন। এখনকার ছেলেমেয়েরা যে রকম পোশাক পরে কলেজে যান, সেটা মাথায় রেখেই আমার লুক তৈরি করা হয়েছে। নিজে কলেজে যাওয়ার সুযোগ পাইনি। কারণ স্কুলের ঠিক পরেই ‘হিরোপন্তি’-তে ব্রেক পেয়ে গিয়েছিলাম। ছবির মাধ্যমে কলেজ জীবনটা উপভোগ করতে পারলাম। কলেজ ছাত্রদের মতো চেহারা বানানোর জন্য কিছু মাস্ল লুজ় করতে হয়েছিল। স্পেশ্যাল ডায়েট মেনে চলেছি সেই জন্য। আর সবচেয়ে জরুরি ছিল, সেটে নিজেকে এক জন সাধারণ মানুষ হিসেবে ভাবতে পারা। কারণ আমার আগের সব চরিত্রই ছিল লার্জার দ্যান লাইফ।
প্র: প্রথম ব্যাচের স্টুডেন্টদের সঙ্গে তো আপনাদের তুলনা হবে। নার্ভাস লাগছে?
উ: তুলনা হওয়াটাই স্বাভাবিক। প্রথম ছবিতে তিন জন তারকার আবির্ভাব হয়। আর আমি এই প্রথম বার ধর্মা প্রোডাকশনে কাজ করছি। তাই দায়িত্বটাও বেশি। কর্ণ জোহর যে আমার উপরে আস্থা রেখেছেন, সেটাই আমার কাছে খুব বড় ব্যাপার।
প্র: স্কুলে কেমন ছাত্র ছিলেন?
উ: একদম পড়াশোনা করতাম না! দেদার ক্লাস বাঙ্ক করতাম। খেলাধুলোর শখও খুব বেশি ছিল। ক্লাস বাঙ্ক করে খেলতে চলে যেতাম। স্কুলে যেতাম বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে পারব বলেই। তবে খেলার মাঠ থেকেই জীবনের সবচেয়ে দামি শিক্ষাগুলো পেয়েছি— অনুশাসন, নিয়মানুবর্তিতা, অধ্যবসায়। পড়াশোনায় মনোযোগ ছিল না, কারণ জানতাম ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার ইচ্ছে ছিল না। ভাল খেলতাম বলে প্রত্যেক বছর স্পোর্টসে মেডেল পেতাম। স্পেশ্যাল অ্যাওয়ার্ডও। তাই স্কুলে বেশ পপুলার ছিলাম। তবে পড়াশোনা না করার জন্য বাড়িতে বকুনিও খেতাম।
প্র: বাবা-মাকে না বলেই অ্যাকশন ছবিতে স্টান্ট করে থাকেন। এ বারের অভিজ্ঞতাটা একটু আলাদা ছিল নিশ্চয়ই?
উ: এ বার বাড়িতে সবাই নিশ্চিন্ত ছিল যে, ‘স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার’ করতে যাচ্ছি... সেখানে আর কত স্টান্ট করব! মা-বাবা সব সময়ে বলেন, এখন টেকনোলজি আর স্পেশ্যাল এফেক্টস এত এগিয়ে গিয়েছে, তাই অযথা ঝুঁকি নেওয়ার দরকার কী? আমি সব পরামর্শ শুনি, কিন্তু যেটা করার সেটাই করি! গ্রিন পর্দার সামনে দাঁড়িয়ে খুব সহজে লোককে বোকা বানানো যায়, কিন্তু এখনকার দর্শক বুদ্ধিমান। তাঁরা সহজেই বুঝে যাবেন কারিকুরি।
প্র: বাড়িতে মা-বাবা, বোন কৃষ্ণার সঙ্গে কতটা সময় কাটান?
উ: মা তো আমার সবচেয়ে বড় ফ্যান। আমি যা-ই করি, মা ভাল বলেন (হাসি)। বাবার সঙ্গে খুব কমই দেখা হয়। যখনই দেখা হয় বাবা বড্ড লেকচার দেন! আমার কী খাওয়া উচিত, কী ভাবে স্টান্ট করা উচিত। আমি সব শুনি। শুনতে হয় বলে (ফের হাসি)। তবে কৃষ্ণা খুব সততার সঙ্গে আমার কাজের রিভিউ দেয়। সম্প্রতি মা-বাবার জন্য একটা বাড়ি কিনলাম। ওঁরা আমার জন্য খুব গর্ববোধ করেন। আমি চাই, সেই অনুভূতিটা সব সময়ে থাকুক। ওঁদের সব সময়ে আনন্দে রাখতে চাই।
প্র: দিশা পাটনি আর আপনার সম্পর্কের স্টেটাসটা বলবেন?
উ: যা আগে ছিলাম, এখনও তাই। আমরা ভীষণ ভাল বন্ধু। এই মুহূর্তে এই স্টেটাসটাই বলতে পারি। আমরা একে অপরকে বুঝি। নিজেদের কাজকে বুঝি। ভাল বোঝাপড়া আছে। ‘ভারত’-এর ট্রেলার দেখে আমি খুব খুশি। সলমন ভাইয়ের ছবি। বিশাল বড় ক্যানভাস! দিশাকে নতুন হেয়ারস্টাইলে খুব ভাল দেখাচ্ছে।
প্র: পরের ছবি আপনার আইডল হৃতিক রোশনের সঙ্গে। অভিজ্ঞতা কেমন?
উ: একদম স্বপ্নের মতো। প্রথম দিন সেটে হাত-পা কাঁপছিল! কোনও ভাবে নিজের সেরাটা দিয়েছিলাম। পরিচালক ‘কাট’ বলার সঙ্গে সঙ্গে হৃতিক স্যর এসে আমাকে জড়িয়ে ধরেন। বলেছিলেন, ‘‘খুব ভাল।’’ তার পর থেকে ভয়টা একদম কেটে গিয়েছিল। এখনও ছবিটার অল্প কিছু কাজ বাকি আছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy