একটি দৃশ্যে প্রিয়ঙ্কা
আপাতত তিনি এক মাস ধরে বাংলাদেশে। একটি কমার্শিয়াল ছবি করছেন। ভরপুর প্রেমের গল্প।
তাঁর প্রায় এক দশকের ফিল্মি কেরিয়ারে নামী নির্দেশকের ডাক পেয়েছেন ভূরি ভূরি। তার পরেও প্রায় অনামী এক পরিচালকের ছবিতে কাজ করলেন কেন?
পদ্মাপার থেকে ফোনে প্রিয়ঙ্কা সরকার বললেন, ‘‘সত্যি বলতে কী, গল্পটা আমায় চমকে দিয়েছিল। যে কোনও অভিনেত্রীর কাছেই অসম্ভব চ্যালেঞ্জিং, এমন একটা গল্প। কথা মতো পোস্ট প্রোডাকশনের কাজও খুব যত্ন নিয়ে এক বছর ধরে করা হচ্ছে। আয়্যাম রিয়্যালি হ্যাপি।’’
একই কাণ্ড ঘটেছে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রেও। রাজেশ শর্মার বেলাতেও তাই। তিনি আবার তখন ‘এমএস ধোনি: দ্য আনটোল্ড স্টোরি’ নিয়ে চূড়ান্ত ব্যস্ত হয়ে পড়ার মুখে। তবু সময় বের করেছেন।
ছবিতে সায়নী ঘোষ
পরিচালক অর্ণব মিদ্যা। বি-টেক, এমবিএ করা অর্ণব আপাতত এনএফডিসি-র চাকুরে। তাঁর ছবির নাম ‘অন্দরকাহিনি’। ছবিটিতে চারজন নারীর গল্প পরপর আসে। সে নারী কখনও কারও সন্তান, কখনও কারও বোন, কখনও বন্ধু, কখনও স্ত্রী। এই চারটি চরিত্রেই অভিনয় করেছেন প্রিয়ঙ্কা। ছবিটির আর একটি অদ্ভুত দিক হল, প্রায় প্রত্যেক চরিত্রই আসছে অভিনেতাদের বাস্তব জীবনের নামে। রাজেশ এখানে রাজেশই। সায়নী ঘোষ এখানে সায়নী। শুধু প্রিয়ঙ্কার চারটি নাম আলাদা-আলাদা। আর সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে সবাই ডাকে ‘স্যার’। চারটি গল্পেই সম্পর্কের ধারালো খেলা। স্বাভাবিক স্বীকৃত সম্পর্কের সঙ্গে অস্বাভাবিক অস্বীকৃত গোপনীয়তা যেখানে ধাক্কাধাক্কি করে। ‘সভ্য’ সমাজ যাকে অশ্লীলতার তকমা দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলে। কখনও বা অচ্ছুৎ করে রাখে। তার পরেও সত্যি-মিথ্যের লুকোচুরিটা থামে না! বিশ্বাস, আস্থা টলে যাওয়ার যে কাহিনি গড়াতেই থাকে। যার শুধুই কালো কালো অন্দর আছে, আলোয় উপচে ওঠা কোনও বারমহল নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy