অভয় দেওল।
ছবির ময়দানে দাঁড়িয়ে যে কোনও মেনস্ট্রিম ছবির সঙ্গে রীতিমতো লড়তে হয় অন্য ঘরানার ছবিকে। আর তাই সমস্ত ছবিই যাতে একই রকম সুযোগ পায়, সে জন্যই অভয় দেওলের প্রযোজনা সংস্থা এ বার নতুন উদ্যোগ নিল। ‘অভয় দেওল প্রেজেন্ট্স’ নামে প্রযোজনা সংস্থাটির আসল কাজ হল, কোনও ছবির ডিজিটাল স্বত্ব কিনে অনলাইনে তা রিলিজ করা।
অভয় বললেন, ‘‘অনেক সময়ে ছোট ছোট ছবিও সিনেমা হলে রিলিজ করার সুযোগ ঠিকমতো পায় না। আমি চাই দর্শক সে ধরনের সমস্ত ছবি সম্পর্কেও জানুক। সেগুলোও দেখুক।’’
শোনা যাচ্ছে, অভয়ের প্রযোজনা সংস্থাটি প্রাথমিক ভাবে কয়েকটি ছবি বাছাই করেছেন। যার মধ্যে রয়েছে আদিত্য বিক্রম সেনগুপ্তের ‘আসা যাওয়ার মাঝে’, পায়েল শেট্টির শর্টফিল্ম ‘লীচেস’, জগজিৎ সিংহকে নিয়ে তৈরি তথ্যচিত্র ‘কাগজ কি কস্তি’ এবং আরও...।
বৌদ্ধায়ন মুখোপাধ্যায় এবং আদিত্য বিক্রম সেনগুপ্ত।
তবে প্রশ্ন উঠেছিল ‘তিনকাহন’-এর তালিকায় থাকা নিয়ে। ছবির পরিচালক বৌদ্ধায়ন মুখোপাধ্যায়কে ফোনে যোগাযোগ করা হলে, তিনি আনন্দ প্লাসকে জানান, ‘‘তাঁর এই ছবিটি অভয়ের প্রযোজনা সংস্থার তালিকায় রয়েছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘সিনেমাহলে কোনও ছবির প্রদর্শন শেষ হওয়ার পরেও তার আয়ুকে বাঁচিয়ে রাখে অনলাইনই। ফলে আমাদের মতো স্বাধীন পরিচালকের ক্ষেত্রে অনলাইনে ছবির প্রচার ও প্রদর্শন নিঃসন্দেহে অন্যতম বড় সুযোগ।’’ ‘আসা যাওয়ার মাঝে’ ছবিটি সাফল্যের সঙ্গে সিনেমাহলে চলেছিল প্রায় আট সপ্তাহ। বিক্রমের মতে, অনলাইনে ছবি প্রদর্শন আসলে দর্শকদের ভৌগোলিক সীমারেখাকে ভেঙে দেয়।
বৌদ্ধায়ন অবশ্য বলছেন, ‘‘প্রযোজকের দাক্ষিণ্য না থাকলে বাইরে থেকে ছবি করতে এসে বহু পরিচালকই অনেক সময়ে সিনেমাহলে ছবি রিলিজ করার সুযোগ পান না। ইন্ডাস্ট্রিতে ফিল্ম ডিস্ট্রিবিউশনের দিকেও খেয়াল রাখা জরুরি। অনলাইনে ছবি দেখানোর ফলে ছোট পরিচালকদের লাভের পাশাপাশি তাঁদের ছবি তৈরির উৎসাহও অনেকটাই বাড়ে।’’ অভয়ের নয়া পদক্ষেপ যে বহু পরিচালককেই আশাবাদী করে তুলেছে, সে বিষয়ে সন্দেহ নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy