Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

নিজেকে এ বার বড় পর্দায় দেখতে চায় ‘বধূবরণ’-এর কনক

ছোট পর্দায় পরপর দুটো লিড চরিত্রে। কাজ, পছন্দের পাত্র নিয়ে আনন্দ প্লাসের সঙ্গে আড্ডায় প্রমিতা চক্রবর্তীছোট পর্দায় পরপর দুটো লিড চরিত্রে। কাজ, পছন্দের পাত্র নিয়ে আনন্দ প্লাসের সঙ্গে আড্ডায় প্রমিতা চক্রবর্তী

প্রমিতা। ছবি: সুদীপ্ত চন্দ। লোকেশন ও ফুড পার্টনার: হোয়াটস অ্যাপ ক্যাফে

প্রমিতা। ছবি: সুদীপ্ত চন্দ। লোকেশন ও ফুড পার্টনার: হোয়াটস অ্যাপ ক্যাফে

ঈপ্সিতা বসু
শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০১৮ ০১:৪২
Share: Save:

রাতে তো বটেই, দিনেও একা ঘরে থাকতে ভয় পান ছোট পর্দার পারুল। যদি তাঁকে ভূতে ধরে! আর যদি টিকটিকি দেখেন, তা হলে হয়েই গেল! এতটাই ভীতু প্রমিতা চক্রবর্তী। এ সব ব্যাপারে যতই ছেলেমানুষি করুন না কেন, কাজের ক্ষেত্রে তিনি পারফেকশনিস্ট। ‘‘আমার এই ভয় পাওয়া নিয়ে সেটে সকলে মজা করে। তবে আমি যদি কাজের ব্যাপারে কখনও খুঁতখুঁত করি, সকলে বোঝে কোথাও না কোথাও গড়বড় নিশ্চয়ই একটা আছে,’’ বলছিলেন প্রমিতা।

নান্দীকারের ওয়র্কশপ দিয়ে অভিনয়ে হাতেখড়ি প্রমিতার। বাবার ইচ্ছেতেই অভিনয়ে আসা। প্রথম কাজ ‘অগ্নিপরীক্ষা’ সিরিয়াল। তার পর ‘রাশি’তে একটি চরিত্র করতে করতেই ‘বধূবরণ’-এ কনকের চরিত্রে লুক টেস্ট। ‘‘কনকের লুক টেস্টে এত মেয়ে এসেছিল যে ভাবতে পারিনি নির্বাচিত হব। তিন-তিন বার লুক টেস্টের পর চরিত্রটা পেয়েছিলাম।’’

এখন তিনি ‘সাত ভাই চম্পা’র পারুল। শীর্ষস্থানে যে কয়েকটি ধারাবাহিক রয়েছে, তার মধ্যে ‘সাত ভাই চম্পা’ একটা। পর পর দুটো লিড চরিত্র পেয়ে নিজেকে ভাগ্যবান বলেই মনে করেন প্রমিতা। কোন চরিত্রটা বেশি কঠিন ছিল? ‘‘কনকের চরিত্রটা কঠিন ছিল। কারণ, আমাকে বিবাহিত মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করতে হতো। এ দিকে ‘সাত ভাই চম্পা’য় এমন একটা চরিত্র করছি যেটা কল্পনা করতে হচ্ছে। শুরুর দিকে নার্ভাস লাগত। পরিচালকের সাহায্যেই কাজটা সুষ্ঠু ভাবে করতে পেরেছি। তবে রূপকথার রাজকন্যে হতে কার না ভাল লাগে,’’ হাসতে হাসতে বললেন প্রমিতা।

কনক চরিত্রের জন্যই লেখাপড়ায় মাঝপথে ইতি টেনেছিলেন অভিনেত্রী। বেলগাছিয়া ওলাইচন্ডী মন্দির বাড়ির মেয়ে তিনি। তাঁর পরিবার যথেষ্ট আধুনিক। অভিনয় করা নিয়ে বাড়ি থেকে কোনও আপত্তি আসেনি কখনও। তাঁর কথায়, ‘‘আমি ভুলভাল কিছু করব না। যতটা স্বাধীনতা পাওয়ার দরকার, পেয়েছি। তাই স্বাধীনতা পেলেও তার অপব্যবহার কখনই করিনি।’’

দিন-রাত ছোট পর্দায় কাজ করেও কী করে এমন মেদহীন চেহারার অধিকারী তিনি? রহস্যটা ভেঙে বললেন প্রমিতা, ‘‘জিম কখনওই করিনি। ডায়েট করি। দু’ঘন্টা অন্তর খাই। শুটিংয়ের ফাঁকে চট করে খেয়ে নিই। সঙ্গে ড্রাই ফ্রুটস থাকে। সবটাই নিয়ম মেনে করি। তবে এখন আর চকলেট খেতে পারি না।’’

শুটিংয়ে যাওয়া আসার পথে গান শোনাটাই প্রমিতার কাছে ‘মি টাইম’। আর শুটিংয়ের অবসরে চলে সহশিল্পী সুদীপ্তা চক্রবর্তী আর রুদ্রর সঙ্গে আড্ডা। প্রমিতার আর এক প্যাশন কিন্তু নাচ। ভরতনাট্যম শিখেছেন ছোট বয়স থেকে। কিন্তু পায়ের চোটের জন্য দীর্ঘ দিন নাচের অনুষ্ঠান করতে পারেননি। নাচের শখ অবশ্য টেলিভিশনের বিভিন্ন শোয়ের মধ্য দিয়েই মিটিয়ে নিচ্ছেন।

কারও সঙ্গে বেশিক্ষণ ঝগড়া করে থাকতে পারেন না নায়িকা। ঝামেলা হলেও তিন-চার ঘণ্টার মধ্যেই মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। কষ্ট পেলে জমিয়ে রাখতে পছন্দ করেন না। কখনও যদি ‘মুড অফ’ হয়, নিজেই সেটা থেকে বেরিয়ে আসেন। প্রমিতার কোয়ালিটি টাইমের সঙ্গী কে? ‘‘বয়ফ্রেন্ড ছিল। কিন্তু ব্রেকআপ হয়ে গিয়েছে। কারণটা বলব না। মা বলেন, আমার পছন্দের ছেলে পাওয়া সত্যি বেশ কঠিন!’’ প্রমিতার পছন্দের পাত্রের গুণাবলির তালিকা কিন্তু বেজায় লম্বা। তাঁকে কেয়ারিং হতে হবে, মানিয়ে চলতে হবে, প্রমিতার কথাকেও সমান গুরুত্ব দিতে হবে। তবে এমন ছেলে পাওয়া এখন বেশ কঠিনই মনে হচ্ছে তাঁর কাছে।

কিন্তু আর একটা কঠিন কাজকে লক্ষ্য বানিয়ে ফেলেছেন প্রমিতা। নিজেকে দেখতে চান বড় পর্দাতেও। সে জন্য নিজেকে গ্রুম করতেও রাজি তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE