Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

‘আমার প্রাক্তন আমার বর্তমান প্রেমিকের সঙ্গে কাজ করছে, এটা ভাবি না’

সম্পর্ক নিয়ে আর রাখঢাক নেই। প্রাক্তন প্রেমিকের সঙ্গেও সহজ সম্পর্ক তাঁর। হাত ভর্তি ছবি নিয়ে নায়িকা বেশ ব্যস্ত। আনন্দ প্লাসের আড্ডায় অনর্গল শুভশ্রীসম্পর্ক নিয়ে আর রাখঢাক নেই। প্রাক্তন প্রেমিকের সঙ্গেও সহজ সম্পর্ক তাঁর। হাত ভর্তি ছবি নিয়ে নায়িকা বেশ ব্যস্ত। আনন্দ প্লাসের আড্ডায় অনর্গল শুভশ্রী

স্রবন্তী বন্দ্যোপাধ্যায়
শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০১৭ ০০:০০
Share: Save:

ইন্ডাস্ট্রিতে দশ বছর। শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। কঠিন ডায়েট বন্ধ করে লাবণ্য আরও বেড়েছে। সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে দেবের প্রসঙ্গ উঠতেই সোজা বললেন, কেন ভাবব এটা নিয়ে যে, আমার প্রাক্তন আমার বর্তমান প্রেমিকের সঙ্গে এখন কাজ করছে?

প্র: দেবের সঙ্গে তা হলে স্বাভাবিক সম্পর্ক?

উ: আরে! অস্বাভাবিক হবে কেন? অতীত নিয়ে ভাবনাচিন্তা করার কোনও সময় নেই আমার। প্লিজ! দেব কাজপাগল মানুষ। ও কাজ ছাড়া আর কিছু বোঝে না। দেব ‘চ্যাম্প’-এ ভাল কাজ করেছে। ব্যস! আর কী বলব বলুন তো! এটা ২০১৭ মনে রাখবেন!

প্র: দেবের সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর কী শিখলেন?

উ: বিষয়টা সম্পর্কই শুধু নয়। ক্রাইসিসের মধ্য দিয়ে না গেলে সাফল্য আসে না।

প্র: ‘চ্যাম্প’ আর ‘বস টু’ একই দিনে মুক্তি। দেব আর জিৎ…

উ: ওই রকম দু’টো ছবি এক দিনে মুক্তি পেলে লড়াই তো হবেই। তবে আমরা নায়িকারা সেফ জোনে আছি।

প্র: নায়করা সেফ নেই বলছেন?

উ: আমি তো জানতাম এটা আমার সাক্ষাৎকার! অন্য কারও কাজ নিয়ে প্রশ্ন করবেন না আশা করি।

প্র: এ বছর হাতে তো অনেক ছবি…

উ: টাচ উড! ঈদে ‘বস টু’। তার পর ‘আমার আপনজন’, ‘নবাব’, ‘দেখ কেমন লাগে’ আর তামিল ছবি ‘মানে থাইনে পাইয়ে’।

প্র: বাংলা ছবিতে ‘চ্যালে়ঞ্জ টু’ বা ‘চিরদিনই তুমি যে আমার টু’ কিন্তু বক্স অফিসে চলেনি। সেখানে আবার ‘বস টু’?

উ: ‘বস’ যেখানে শেষ হয়েছে, সেখান থেকেই ‘বস টু’ শুরু। দর্শকরা কানেক্ট করতে পারবেন। যেটা আগের সিক্যুয়েলগুলোতে হয়নি। আর ‘বস টু’ তো জিৎ-দার লেখা। এটা একেবারেই অন্য রকম হবে।

প্র: বেশির ভাগই রিমেক, কমার্শিয়াল ছবি। ক্লান্ত লাগে না? মনে হয় না, মিমির মতো যদি ‘পোস্ত’ পেতাম…

উ: শুনুন, রিমেক মানেই খারাপ নয়। আপনি তো বলছেন না, আমির খান ‘গজনি’ কেন বানালেন? ওটাও তো রিমেক। আলিয়া ভট্ট তো ‘কপূর অ্যান্ড সনস্’-ও করেছেন। আবার ‘বদ্রীনাথ কী দুলহানিয়া’। তা হলে? এটা ভুল প্রচার। রিমেকের ক্ষেত্রে আমরা তো ডিভিডি পর্যন্ত দেখি না। ওটাও আমাদের কাছে অরিজিনাল স্ক্রিপ্ট। আমি মিডিয়ার মাধ্যমে বলতে চাই, ‘বিসর্জন’-ও কিন্তু কমার্শিয়াল ছবি। এই যে কৌশিকদা, সৃজিত, অরিন্দমদা, শিবপ্রসাদ এরাও কমার্শিয়াল ডিরেক্টর। ‘ধূমকেতু’ ছবিতে কৌশিকদা কি অসাধারণ ফাইট সিন পরিচালনা করেছে, অরিন্দমদার ‘শবর’ও তাই। আবার ‘আমার আপনজন’-এ অন্য রাজা চন্দকে পাব। বিদেশে শ্যুট করা নাচ-গানের ছবি নয় এটা। অথচ এ ছবি দেখে লোকের কান্না পাবে। প্রেম আসবে। আসলে সবটাই সিনেমা। এই ভাগাভাগি প্লিজ বন্ধ হোক! সিনেমা আসলে স্বপ্ন। দর্শকদের স্বপ্ন দেখাতে হবে।

প্র: আপনি ইদানীং কোন ছবিতে স্বপ্ন দেখলেন?

উ: ‘বাহুবলী টু’। উফ! পুরো রূপকথা! লজিক তো নেই, কিন্তু মনে হয়, আমার যদি ও রকম একটা প্রেম হতো!

প্র: আপনার প্রেম এখন কেমন?

উ: আবার আমি! আমি আসলে বহুকাল ধরেই রাজের ছবির ভক্ত। কারও প্রিমিয়ারে যাই না। কিন্তু ওর ছবির একটা আলাদা টাচ আছে। সেই জন্যই প্রিমিয়ারে যাওয়া। তবে প্রেমের প্রথম দিন থেকেই আমরা দু’জনকে বলে দিয়েছিলাম, কাজের ব্যাপারে কেউ নাক গলাব না। রাজ নিজে খুব ভাল একজন অভিনেতা। আমরা দু’জনে স্ক্রিপ্ট নিয়ে আলোচনা করি। ব্যস ওটাই। বললে বিশ্বাস করবেন কি না জানি না, রাজ যদি আমায় ওর ছবিতে কাস্ট করে তো আমার একটু অস্বস্তি হবেই! ওর সঙ্গে প্রথম ‘চ্যালেঞ্জ’-এ কাজ করেছি। ৮ বছর পরে আবার ‘অভিমান’।

প্র: আপনি ছবির বিষয়ে এতটাই নির্লিপ্ত?

উ: সিনেমা আমার জীবনের শেষ কথা নয়। আমি বাস্তববাদী। জানি, ইন্ডাস্ট্রিতে আরও ১০ বছর থাকব। তার পর? জানেন, সিনেমার জন্য আমার গিটার শেখা হল না। বড় নখ আমায় রাখতেই হবে, যেহেতু আমি অভিনেত্রী। ইচ্ছে মতো ওয়ার্কআউটে সময় দিতে পারলাম না। প্লেন চালানো শেখা হল না। তবে ঘোড়া চড়াটা শিখেছি। ঘোড়া কিনবও। এটা রাজ জানে! আমি সেল্ফ অবসেসড নই। সারাক্ষণ নিজেকে আয়নায় দেখে যাচ্ছি এমনটাও না। ঠিক আছে, অভিনেত্রী হয়ে গিয়েছি। তাই বলে ওটা নিয়ে বসে থাকার মেয়ে আমি নই। আমি নিজেকে কিন্তু কোনও দিন বলিনি, এক নম্বরে থাকতেই হবে।

প্র: মানে আপনার কোনও ইমেজ নেই?

উ: নিজেই তো দেখছেন, পা গুটিয়ে বসে গল্প করছি। লিপস্টিক ছাড়া কোনও মেকআপ নেই। অভিনেত্রী সব সময় সেজেগুজে থাকতে হবে কিংবা সাক্ষাৎকার দিতে বসতে হবে বলে বিশ্বাস করি না। কাল সিনেমা জগতে না থাকলে অন্য কিছু করব নিশ্চয়ই।

প্র: মুম্বইয়ে কাজ করবেন না?

উ: মুম্বই আমার জন্য অনেক ‘ফাস্ট’। ওখানে থেকে স্ট্রাগল করার ইচ্ছে নেই।

প্র: বিয়ের ইচ্ছে কবে?

উ: দেখি, দিন তো ঠিক হয়নি এখনও। ঠিক হলে আনন্দ প্লাস তো জানবেই।

প্র: ঘরের ঠিকানা কি ‘আরবানা’?

উ: আমার কিন্তু আরবানা-য় নিজস্ব ফ্ল্যাট আছে। এটা লিখবেন কিন্তু।

আরও পড়ুন:প্রকৃত অভিভাবক কে, জানে পোস্ত

যাঁরা তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী


ঋতুপর্ণা- কাজপাগল। এত বছর ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের জায়গা কেমন করে রাখতে হয় সেটা শেখার মতো।


কোয়েল- আরও অনেক ছবি করুক। ওর পরিচালনায় কাজ করতে চাই।


মিমি-‘বোঝে না সে বোঝে না’ ছবিতে খুব ভাল লেগেছিল। দারুণ অ্যাপিয়ারেন্স। ‘হট’ মিমির চেয়ে ওই লুকটাই বেস্ট।


শ্রাবন্তী-আমাদের ইন্ডাস্ট্রির সবচেয়ে সুন্দর মুখ। যে কোনও চরিত্রে অসাধারণ।


নুসরত- অনেক পরিণত। কাজের মধ্য দিয়ে বুঝিয়ে দিচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE