শাহিদ কপূর শুটিং শুরু করে দিলেন ‘বাত্তি গুল মিটার চালু’-র।
এই ছবিতে তাঁর বিপরীতে শ্রদ্ধা কপূর। ‘হায়দর’-এর পর আবার জুটি বাঁধলেন দু’জন। ‘বাত্তি গুল...’-এ শাহিদের লুক নিয়ে কিন্তু ইতিমধ্যেই নানা রকম জল্পনা। কী বলছেন অভিনেতা নিজে? শুনল আনন্দ প্লাস।
প্র: আপনার নতুন ছবির শুটিং তো শুরু হয়ে গিয়েছে...
উ: হ্যাঁ। এই ছবিটায় আমার লুক নিয়ে অনেক এক্সপেরিমেন্ট করা হয়েছে। আমি উত্তরাখণ্ডের একজন তরুণের ভূমিকায় কাজ করছি ছবিতে। পাহাড়ি ভাষা বলতে হবে বলে একজন ডিকশন টিচারের কাছে নিয়মিত ক্লাসও করছি। ছবিটার সঙ্গে অনেক প্রত্যাশা জড়িয়ে আছে। একটা জরুরি সোশ্যাল ড্রামা বলা যায় ‘বাত্তি গুল...’কে।
প্র: এক একটা চরিত্রের জন্য অনেক পরিশ্রম করেন আপনি। চরিত্রটা হয়ে গেলে ডি-স্ট্রেস করেন কী ভাবে?
উ: আমার ডি-স্ট্রেস করার একটাই পদ্ধতি— মেয়ে মিশা। ও তো মাঝে মাঝে মীরার সঙ্গে আমার শুটিং সেটেও চলে আসে। মিশা আমার চার্জার, আমাকে সব সময় রিচার্জ করে দেয়। ওকে দেখে আমার সব ক্লান্তি চলে যায়। তবে ‘পদ্মাবত’-এর শুটিং শেষ হওয়ার পর আমি যখন চুল আর দাড়ি কাটি, তখন আমাকে দেখে চিনতে পারেনি। সেই মুহূর্তটায় খুব খারাপ লেগেছিল।
প্র: একজন বাবা হিসেবে মিশার মধ্যে কী কী গুণ আপনি দেখতে চান?
উ: আমার মনে হয় এখনকার জেনারেশন ভীষণ স্মার্ট। ওরা অন্য ভাবে দেখে, চিন্তা করে। আমি বিশ্বাস করি, বলে বা বকে কোনও কিছু শেখানো যায় না। মিশাকে যা কিছু শেখাব, সেটা অভিভাবক হিসেবে ওর সামনে আমাদের করে দেখাতে হবে।
আরও পড়ুন: পুরীর ভিতর দানা বেঁধেছে রহস্যপুরী
প্র: মীরা আসার পর শাহিদের নাম থেকে ‘ক্যাসানোভা’ তকমাটা চলে গিয়েছে, কী করে সম্ভব হল?
উ: (হেসে) এখন আমি বিবাহিত। বিশ্বাস করি, কোনও কিছু শুরুই করা উচিত নয় যদি সেটা আমরা শেষ না করতে পারি। লং টার্ম রিলেশনশিপে তখনই যাওয়া উচিত, যখন সেটা শেষ পর্যন্ত চালিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব বলে মনে হবে।
প্র: বিয়ের পর থেকে মীরা আপনার জীবনে অপরিহার্য। পার্টি, প্রিমিয়ার, র্যাম্প— সব জায়গায় আপনার সঙ্গে মীরা। আপনার জীবনে ওঁর রোল কী ভাবে ব্যাখ্যা করবেন?
উ: ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। আমার যত চিন্তা, দ্বন্দ্ব— সব আমি মীরার সঙ্গে ভাগ করে নিই। ও বুঝত যে,
১৫ বছর কাজ করার পর ‘পদ্মাবত’-এ আমার চরিত্রের মতো আন্ডারডগ রোল করতে গেলে কতটা প্রেশার নিতে হয়। নতুন ছবি ‘বাত্তি গুল...’-এর কাজও শুরু হয়ে গেল। এই সময়টুকুতেই চেষ্টা করছি যতটা সম্ভব পরিবারের সঙ্গে কাটাতে পারি।
প্র: ‘পদ্মাবত’ রিলিজের পর বাবা পঙ্কজ কপূরের কী প্রতিক্রিয়া ছিল?
উ: আমার কোনও ছবি যখন বাবার ভাল লাগে, উনি আমার গালে হাত দিয়ে আদর করেন। আর বলেন, ‘চলো, একসঙ্গে কফি খেতে বসি।’ কিন্তু আমি ব্যস্ত হয়ে পড়লাম বলে এখনও ওঁর সঙ্গে বসা হয়নি, তবে শিগগিরই বসব।
প্র: আপনার ভাই ঈশানের ছবিও খুব শিগগিরই মুক্তি পেতে চলেছে। ইন্ডাস্ট্রিতে ঈশানের ভবিষ্যৎটা কেমন দেখেন?
উ: ঈশান পরিশ্রমী অভিনেতা। আমি ওকে সব সময় বলি, স্টারডম আসবে-যাবে। কিন্তু নিজেকে এই ইন্ডাস্ট্রিতে প্রমাণ করতে হবে। আমি ওর ছবি ‘বিয়ন্ড দ্য ক্লাউডস’ দেখেছি। খুব ভাল কাজ করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy