জাইরা ওয়াসিম। ছবি: দেবস্মিতা ভট্টাচার্য
ফুটফুটে কাশ্মীরি এক মেয়ে হাজার-হাজার জনকে পিছনে ফেলে অডিশন দিয়ে ছিনিয়ে নিয়েছিলেন ‘দঙ্গল’-এর একটি চরিত্র। প্রথম ছবিতেই জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্তি। ‘দঙ্গল’-এর জাইরা ওয়াসিম ‘সিক্রেট সুপারস্টার’-এ ফিরছেন গায়িকা হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে। পাশে রয়েছেন মেন্টর আমির খান।
‘সিক্রেট...’এর জাইরা বরোদার মেয়ে ইনসিয়া। বোরখার আড়ালেই মুখ ঢেকে গান গায়। স্বপ্ন দেখে বড় গায়িকার হওয়ার। ‘দঙ্গল’-এ ছোট ছোট করে চুল ছেঁটে ভীষণ মনখারাপ হয়েছিল জাইরার। এ বার সে রকম কিছু প্রস্তুতি ছিল? জাইরা বলেন, ‘‘এখানে গান ইম্পর্ট্যান্ট। আমি অনেকটা সময় মেঘনা মিশ্রর (যিনি ছবিতে গান গেয়েছেন) সঙ্গে কাটাতাম। দেখতাম ও কী ভাবে গান করছে, কোথায় শ্বাস নিচ্ছে, ছাড়ছে। এটা চাইনি যে ছবিটা দেখে কেউ বলুক, আমি অ্যাক্টিং করছি।’’
আরও পড়ুন: খেয়ে রোগা হন, বলেন ফিটনেস ফ্রিক সায়ন্তিকা
প্রথম ছবিতেই জাতীয় পুরস্কার পাওয়া সহজ নয়। তবে সাফল্য মাথা ঘুরিয়ে দেয়নি সপ্তদশীর। জাইরা বলেন, ‘‘আমার মনে হয়, এটা মানুষের ভালবাসা। আমার কাছে সাফল্য মানে থেমে যাওয়া নয়, এটা একটা অবিরাম স্ট্রাগল আর পদ্ধতি।’’ আর যখন বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট জাইরার পারফরম্যান্সে মুগ্ধ হন? ‘‘আমার অভিনয় আমির স্যারের ভাল লেগেছে। সেটাই সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। একসঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতাও দারুণ। ছবির শ্যুটিংয়ে আমার হাসি থামতই না! আশা করি, দর্শকও ছবিটা দেখে একই ফিল করবেন।’’
বোর্ডের পরীক্ষায় ৯২% নম্বর পেয়ে পাশ করেছেন। এর পরের প়়ড়াশোনা কি তা হলে অ্যাক্টিং নিয়েই? ‘‘আমি দুটো ছবিতে যে মেথডে কাজ করেছি, পরে ছবি করলে সে ভাবেই চেষ্টা করব। পড়াশোনা করলে আমার শেখার মেথডটাই ঘেঁটে যাবে। তাই অ্যাক্টিং নিয়ে পড়াশোনা করতে চাই না,’’ বলেন জাইরা। এত দিন সাধারণ স্কুলগার্ল। আর এখন এক্কেবারে সেলিব্রিটি। সিনেমা জগতে আসার আগে ভয় লাগেনি কখনও? ‘‘ভয়টা এখনও আছে। আর মনে হয়, সমস্ত অভিনেতারই ভাল অভিনয় না করতে পারার ভয় থাকে। ‘দঙ্গল’-এ দেখতাম, সকলে দারুণ অভিনয় করছে। আমার মনে হতো, আমি তার ধারেকাছেও যেতে পারছি না। অভিনয় তো দূর, আমি ভিড় সামলাতেও ভয় পেতাম। এখন একটু কেটেছে। পরে পুরো ভয়টাই কেটে যাবে,’’ হেসে ফেলেন জাইরা।
কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির সঙ্গে সাক্ষাৎ, হিজাব-বিতর্কে বারবার টেনে আনা... ১৭ বছরেই এত কিছু! খারাপ লাগে না? ‘‘বিতর্ক আমাকে ভাবায়নি। যেটা সবচেয়ে বেশি ভাবিয়েছিল লোকে আমাকে ভুল বুঝেছে। সেটা খারাপ লেগেছিল। তবে এটা একটা ফেজ, যেটা কেটেও গিয়েছে।’’
এখনও অবধি জাইরার পছন্দের পরিচালকের তালিকা নেই। প্রায়োরিটি আছে। তবে জীবন যেমন ভাবে আসছে, তেমনই যাপন করতে চান। জাইরার মা বলছিলেন, মেয়ে ঘুমোতে ভালবাসে ভীষণ। আর জাইরার আনন্দ কীসে হয়? ‘‘বেড়াল। তিন খানা আছে— ডোডো, স্নো আর বেড়ালছানা জেরি,’’ হেসে ফেলেন জাইরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy