ছবির দৃশ্য
সাত বছর আগে ভূতেদের ভবিষ্যৎ দেখিয়েছিলেন অনীক দত্ত। এ বার বর্তমানে দাঁড়িয়েই ভবিষ্যতের ভূত প্রসঙ্গ নিয়ে আসছেন। পরিচালক বারবার বলছেন, ‘ভবিষ্যতের ভূত’ সিকুয়েল নয়। স্রেফ আর একটা ভূতের গল্প।
মৃত্যুর পরেই নাকি মানুষ ভূত হয়। কিন্তু আদৌ কি তাই? জীবিত থাকাকালীনও কিছু মানুষের অস্তিত্ব বিলুপ্ত হয়ে যায়। অনীক তাঁর ‘ভবিষ্যতের ভূত’-এ এই প্রশ্নটাকেই জায়গা দিয়েছেন।
উদাহরণ দিয়েও বোঝালেন তিনি। ‘‘কিছু মানুষ তাদের কাজ, চিন্তাভাবনা বা রাজনৈতিক বিশ্বাসের জন্য জীবিত অবস্থাতেই মার্জিনালাইজ়ড হয়ে যায়। এক জন টাইপিস্ট এই কম্পিউটারের যুগে কী করবে? ক্যাবারে ডান্সারদের কী হবে? ওল্ড স্কুল মার্কসিস্টদের বাজারদর নেই। মধ্যবিত্ত শিক্ষিত বাঙালি বলতে এককালে যা বোঝাত, তাও আজ অবলুপ্ত। এরা সবাই জীবিত ভূত!’’
‘ভবিষ্যতের ভূত’-এ কে ভূত, কে নয় তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। সেই জায়গাটা বিস্তারিত বলতে চাইলেন না পরিচালক। ‘ভূতের ভবিষ্যৎ’-এ অনীক ভূতেদের থাকার জায়গার সমস্যার উল্লেখ করেছিলেন। সেখানে তারা একটি বাড়ি দখল করে। এ বার সমস্যা আরও জটিল। ফাঁকা বাড়িও এখন মেলে না। তা হলে কি ভার্চুয়াল জগৎ? না কি অন্য কিছু? পরিচালক ধোঁয়াশা জিইয়ে রেখেই বললেন, ‘‘রিয়্যাল আর ভার্চুয়ালের বাইরে তারা একটা জায়গা খুঁজে পেল... সেটা কী? আর সেখানে থাকতে গিয়ে কী হল, সেই টুইস্ট ভাঙব না।’’
ছবিতে একাধিক মুখ। পরান বন্দ্যোপাধ্যায়, সব্যসাচী চক্রবর্তী, চান্দ্রেয়ী ঘোষ, কাঞ্চন মল্লিক, মুনমুন সেন। সুর করেছেন দেবজ্যোতি মিশ্র। তাঁর ছবির গান অনীক নিজেই লিখে থাকেন। এ ছবিতেও তাই। পরমা, নিকিতা গাঁধীর মতো শিল্পীরা তো গেয়েছেনই, কাঞ্চন মল্লিকও প্রথম বার প্লেব্যাক করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy