দাম্পত্য দীর্ঘজীবী হোক। সঙ্গে থাকুক এক্সট্রা প্রেম, টেক্সটিং আর লুকোছাপা ‘লভ মেকিং’। সুদেষ্ণা রায়-অভিজিৎ গুহর পরিচালনায় ‘বিটনুন’ দেখতে দেখতে এমনটাই মনে হচ্ছিল। অবসাদ নেই, পরকীয়ার মেলোড্রামা নেই, ঘ্যানঘেনে বিচ্ছেদযন্ত্রণাও নেই। এমন একটা দুষ্টুমিষ্টি মজার প্রেমের ছবি দেখে কেউ আবার নতুন করে প্রেম করতেও চাইতে পারেন।
এক পুরুষ আর দুই নারীর গল্প বাংলা ছবিতে নতুন নয়। কিন্তু এখানে কমেডির মোড়কে ট্যাংরা মাছ আর পালংশাকের একঘেয়ে বাঙালি দাম্পত্যের সঙ্গে শপিং মল আর নির্জন রিসর্ট প্রেমের এমন দুরন্ত কম্বো ছবিটি দেখার উৎসাহ বাড়িয়ে দেয়। হল থেকে বেরিয়েও মনে পড়ে নানা মজার দৃশ্য। যেমন ঋত্বিক চক্রবর্তীর (রাহুল) বৌকে কাটিয়ে প্রেমিকাকে নিয়ে পালানো। আবার ফাঁকা ফ্ল্যাটে নাছোড়বান্দা প্রেমিকার খপ্পর থেকে নিস্তার পেতে ঋত্বিকের কমেডি লুকও দর্শককে প্রচুর হাসিয়েছে। ঋত্বিকের অভিনয় এতটাই সাবলীল যে এ সব দৃশ্যে কোনও অতিনাটকীয়তা ছবির মেজাজ নষ্ট করেনি। এই ঋত্বিক প্রেমিকার সঙ্গে লুকিয়ে লুকিয়ে চাইনিজ খান। অথচ সেই চাইনিজ খাওয়ার সময়ই তিনি বারবার নিজের বৌয়ের কথা মনে করতে থাকেন— প্রেমিকা না স্ত্রী কাকে বেশি ভালবাসছেন তিনি? দোটানা এই চরিত্রকে ঋত্বিক যে দক্ষতায় ফুটিয়ে তুলেছেন, তা অনবদ্য।
সত্যিই তো, নতুন প্রেম মানেই পুরনো প্রেমকে অস্বীকার করা নয়। চিত্রনাট্যকার পদ্মনাভ দাশগুপ্তের সহজ হাসির সংলাপে কঠিন সত্যিটা সহজেই বেরিয়ে এসেছে। ঋত্বিকের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অভিনয় করেছেন গার্গী রায়চৌধুরী (মৌসুমী)। যেন আমাদের পাশের বাড়ির সেই অতি-চেনা গৃহবধূটি। কাজের লোক না আসায় পা অবধি কাপড় তুলে কাচতে বসে পড়েছেন। ছেলের পড়াশুনো থেকে বরের টিফিন— নিপুণ ভাবে সামলাচ্ছেন তিনি। এই চরিত্রের ডিটেলিং গার্গীর অভিনয়ে চমৎকার ফুটে উঠেছে। এই গার্গীই হঠাৎ সকলকে চমকে দেন। শর্ট ড্রেসে তিনি তখন হট মৌসুমী। ছবিতে দেখা যায় একান্তে ফোনালাপ করছেন তিনি। কী হল তাঁর? সেটা উহ্যই থাক।
ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রগুলোকে অনেকগুলো শেড-এ ধরতে চেয়েছেন দুই পরিচালক। যেমন সায়নী ঘোষ-এর (রুশা) চরিত্র। বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম করতে করতে হঠাৎই তাঁর ভালবাসার পুরুষকে ফিরিয়ে দেন তিনি! এই দৃশ্যে প্রচুর মেলোড্রামার সুযোগ ছিল। কিন্তু সুজয় দত্তরায়ের সম্পাদনার মুন্সিয়ানায় সেই ফাঁড়া কাটিয়ে উঠেছে এই ছবি। চমৎকার অভিনয় করেছেন সায়নী। তবে ছবিতে মঞ্চে সায়নীর নাচের দৃশ্য একটু বেমানান।
কম সময়ে কমেডি ফ্লেভারে দাম্পত্যে পরকীয়ার বিটনুন ছড়িয়ে দিয়েছেন দুই পরিচালক। ‘বিটনুন’ ছবির সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন রাঘব চট্টোপাধ্যায় ও শুভেন চট্টোপাধ্যায়। বেশ অন্য রকম কাজ। সময়ই বলবে বাংলা ছবিতে তিনি আরও কত নতুন ধরনের কাজ করবেন।
এই পার্ক জানে আমার প্রথম সব কিছু
দেশপ্রিয় পার্ক। আট বছরের এক কিশোর ফুটবল খেলছিল দাদার সঙ্গে। গোল হওয়া না হওয়া নিয়ে বাঁধে ঝামেলা। ঘটনাচক্রে সেখানেই তখন ছিলেন কোচ বলাই চট্টোপাধ্যায়। তিনিই মীমাংসা করে দেন গোলের। যদিও সে সময় দুই কিশোরের কেউই চিনতেন না বিখ্যাত কোচকে। বাকিটা তো ইতিহাস। আজ ৬৯ বছর পর চুনি গোস্বামী ফিরে গেলেন কৈশোরের সেই পার্কে। আনন্দplus-এর জন্য বিশেষ ফোটোশ্যুটে। ছবি: উৎপল সরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy