ধড়ক
সোশ্যাল মিডিয়ায় ক’দিন ধরেই একটি মিম ঘোরাফেরা করছে। অবাঙালি বা বিদেশি ছবি-করিয়েরা নাকি কলকাতায় শুটিং করলে শহরটাকেই নিজেদের হিরোইন বানিয়ে ফেলেন! অনেকে বাজেটের কথাও মাথায় রেখে কাজ করেন। কারণ আর পাঁচটা মেট্রো সিটির তুলনায় কলকাতায় খরচ বাঁচানো সহজ। কেউ আবার কলকাতার প্রেক্ষাপটকে সুন্দর করে ন্যারেটিভে বুনে দেন।
কলকাতায় শুটিং করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ‘বধাই হো’র পরিচালক অমিত শর্মা। তাঁর পরের ছবিতে কলকাতার বলিষ্ঠ উপস্থিতি রয়েছে। ছবিটি ভারতীয় ফুটবল টিমের কোচ এবং ম্যানেজার সৈয়দ আবদুল রহিমের জীবন অবলম্বনে। চরিত্রটি করছেন অজয় দেবগণ। অমিতের কথায়, ‘‘কলকাতার হেরিটেজ বিল্ডিং, ট্রাম একটা সুন্দর কালচারাল ব্যাকগ্রাউন্ড তৈরি করে দেয়। যেটা পর্দায় দেখতে খুব ভাল লাগে।’’ হকির উপরে কয়েক মাস আগে অক্ষয়কুমার অভিনীত ‘গোল্ড’ও রয়েছে। যার কয়েকটি অংশের শুটিং হয়েছিল কলকাতায়। অবশ্য এ সব ক্ষেত্রে লিড চরিত্ররা প্রত্যেকেই বাঙালি। ফলে কলকাতার জীবনযাপনে তাদের দেখালে ছবিটাও নিখুঁত হতে পারে।
ইরানি পরিচালক মাজিদ মাজিদির কথাও ভুলে গেলে চলবে না। ভারতের প্রেক্ষাপটে তাঁর পরের ছবিটি খনি এলাকাগুলোকে নিয়ে। সেখানে অবশ্য মূলত রানিগঞ্জ এবং সংলগ্ন এলাকা স্থান পাবে। কিন্তু মাজিদি কলকাতাকেও রাখতে চান নিজের ছবিতে।
সম্প্রতি অনুরাগ বসু নিজের ছবির শুটিং করে গেলেন কলকাতা থেকে। অভিনয় করছেন অভিষেক বচ্চন, রাজকুমার রাও, আদিত্য রায় কপূর, ফতিমা সানা শেখ। বাংলার সঙ্গে অনুরাগের যোগাযোগ অবশ্য বরাবরই জোরদার। এর আগে ‘বরফি’র কিছু অংশ শুট করেছিলেন কলকাতায়। যদিও বেশির ভাগটাই ছিল দার্জিলিঙে। তার পরে ‘জগ্গা জাসুস’-এর খানিকটা শুট করেছিলেন পুরুলিয়ায়। কলকাতার রেফারেন্স সেখানেও ছিল। এখানে তাঁর শুট করার পয়লা নম্বর কারণ নাকি কলকাতার খাবারদাবার! বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে পরিচালক এটাও জানিয়েছেন, বাজেটের কারণেও অন্যান্য জায়গার তুলনায় কলকাতাকে এগিয়ে রাখেন তিনি।
নিউ এজ পরিচালকদের মধ্যে শশাঙ্ক খৈতান তাঁর ছবি ‘ধড়ক’-এর জন্য কলকাতায় ছিলেন। সি আর অ্যাভিনিউয়ের একটি বহু পুরনো হোটেলেও শুটিং হয়। শশাঙ্ক জানিয়েছিলেন, তাঁর কাছে কলকাতা রোম্যান্টিক শহর। পরিচালকের কথায়, ‘‘আমার বহু আত্মীয় এই শহরে থাকেন। ছোটবেলা থেকে দেখছি শহরটাকে। রাস্তাঘাটে হেঁটে বেরিয়েছি। তাই সহজেই কলকাতাকে ছবির একটা অংশ করে তুলতে পেরেছিলাম।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy