বিক্রান্ত
প্র: ওয়েব সিরিজ় করার পিছনে কোনও বিশেষ কারণ রয়েছে?
উ: মিডিয়ামের কথা ভেবে আমি কাজ করি না। অভিনেতা হিসেবে আমি এখন অনেক পরিণত। ভাল গল্পই আমাকে সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট করে। তা ছাড়া নতুন মাধ্যমে কাজ করার একটা চ্যালেঞ্জ আছে। অভিনেতা হিসেবে দায়িত্বও বেড়ে যায় অনেক।
প্র: আপনি সব সময়ে আলাদা কিছু করে থাকেন। ‘ব্রোকেন বাট বিউটিফুল’-এ আলাদা কী করতে হল?
উ: ‘ব্রোকেন...’-এ আমি একটা রোম্যান্টিক চরিত্র করছি। কিন্তু রোম্যান্টিকের সঙ্গে বীর (বিক্রান্তের চরিত্র) স্যাডিস্টও বটে। চোট পেলেও সেই জায়গা থেকে সরে আসে না। তাই বীরের চরিত্রটা আমাকে চ্যালেঞ্জ করেছিল।
প্র: ওয়েব সিরিজ় মানেই অযাচিত যৌনতা আর গালিগালাজ। আপনার কী মত এ ব্যাপারে?
উ: আমার মতে, একটা সূক্ষ্ম রেখা টানা দরকার। সেটা ভুলে গেলে ওয়েব সিরিজ়ের মান পড়ে যাবে। কিন্তু আর একটা দিকও রয়েছে। আমরা বলি, সিনেমায় যৌনতা দেখানো যাবে না। এটাকে ট্যাবু হিসেবে ভাবা হয়। অথচ আমাদের দেশেই ‘কামসূত্র’র জন্ম হয়েছে। সেই দেশের জনসংখ্যা আজ ১৫০ কোটি! সুতরাং এগুলো নিয়ে ট্যাবু থাকা মানে আমার মতে হিপোক্রেসি আর ডাবল স্ট্যান্ডার্ড।
প্র: ওয়েব সিরিজ়ে সেন্সরশিপের প্রস্তাব আনা হতে পারে। আপনার কী মত?
উ: সেন্সরশিপ থাকাই উচিত নয়। একটা দায়িত্ববোধ সব নির্মাতার থাকা উচিত। ব্যস, সেইটুকুই! অহেতুক যৌনতা বা গালি দেওয়ার তো দরকার নেই। ছোট পর্দায় যা দেখানো হয়, তা আমাদের দেশের লোক এবং সমাজের কথা ভেবে বানানো হয়। কিন্তু ওয়েব সিরিজ়ের ছবিটা আলাদা। ‘মির্জাপুর’ যে এতগুলো দেশে স্ট্রিম হচ্ছে, এক জন অভিনেতার কাছে সেটা একটা বিরাট উপলব্ধি। আন্তর্জাতিক মার্কেটে বিদেশি শোয়ের সঙ্গে আমরা এখন প্রতিযোগিতায় নেমেছি। সেন্সরশিপ শুরু হয়ে গেলে সেটা কিন্তু একটা বাধা হয়ে দাঁড়াবে। এখন ইন্টারনেট সবার কাছে সহজলভ্য। এক দিকে আমরা চাঁদে যাওয়ার কথা বলি, ২০২৪-এর মধ্যে সব কিছু নাকি ডিজিটাল করে দেব... আর অন্য দিকে বিনোদনে সেন্সরশিপের কথা ভাবছি!
প্র: এখন তো আপনাকে মাথায় রেখে চরিত্র লেখা হয়...
উ: একটা সময় ছিল যখন কোনও স্ক্রিপ্টই আসত না! সেই সময়টা পেরিয়ে এসেছি। আশা করছি, এ রকমই সময় চলবে। এর চেয়ে ভাল হলে তো কথাই নেই!
প্র: আপনি অনেক দিন লেখালিখি করছেন। পরিচালনা করতে চান?
উ: চাই বইকী! কিন্তু তার জন্য এখন অনেক সময় বাকি আছে। এখন অভিনয়ে মন দিতে চাই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy