অমায়রা
প্র: হিন্দি ছবিতে বা ওয়েব সিরিজ়ে বরাবরই অন্য রকম চরিত্র করেন। চিত্রনাট্যে কী দেখেন?
উ: আমি সব সময়েই ছকে বাঁধা কাজ এড়িয়ে চলতে চেয়েছি। তাই ভাল কনটেন্ট আমার কাছে খুব জরুরি। আর স্ক্রিপ্ট পড়ার সময়ে দর্শক হিসেবে গল্পটা পর্দায় দেখতে আমার ভাল লাগবে কি না, সেটা নিজেকে জিজ্ঞেস করি। এটাই আমার স্ক্রিপ্ট বাছার প্রসেস।
প্র: ‘মেন্টাল হ্যায় কেয়া’তে আপনি কঙ্গনা রানাউত এবং রাজকুমার রাওয়ের মতো দুই শক্তিশালী অভিনেতার সঙ্গে কাজ করলেন। কিছু শিখলেন?
উ: অনেক কিছু। একটা জিনিস ঠিক, যে, প্রত্যেক অভিনেতা নিজের মতো করে অন্যদের চেয়ে আলাদা। কঙ্গনা এক্ষুনি হয়তো একটা দৃশ্য এক রকম ভাবে করল, এক সেকেন্ড পরে ওই দৃশ্যটাই ও সম্পূর্ণ অন্য ভাবে করবে! রাজকুমারও তাই। সম্প্রতি ঋষি কপূরের সঙ্গে ‘রাজমা চাউল’-এ কাজ করলাম। ওঁর তো রিহার্সালই করতে লাগে না! আর এঁদের সকলের মধ্যে কমন পয়েন্ট হল, প্রত্যেকেই ভীষণ পেশাদার।
প্র: ‘ট্রিপ টু’ সিরিজ়ে আপনি নয়া সদস্য। নিজের চরিত্রের সঙ্গে রিলেট করেন?
উ: (হাসতে হাসতে) আমি ওর চেয়ে একটু বেশি পরিণত। তবে ইরা কিন্তু নেহাত একটা বোকাসোকা সুন্দরী মেয়ে নয়। ওরও জীবন নিয়ে কিছু অনিশ্চয়তা আছে, যেমন সকলের থাকে। তবে ও ক্ষতিকর নয়। বরং বেশ সৎ। আমারই মতো!
প্র: অভিনয়ে এলেন কেমন করে?
উ: ছোটবেলা থেকেই অভিনয় করতে চাইতাম। স্কুলের নাটকে সব সময়ে অংশ নিতাম। বড়ই হয়েছি সিনেমা দেখে! বাবা-মায়ের সঙ্গে সব ছবি দেখতে হলে যেতাম! ‘কভি খুশি কভি গম’ এত বার দেখেছি... আর আমি গোবিন্দার সবচেয়ে বড় ফ্যান! গোবিন্দার নাচ হলেই ভাইয়ের সঙ্গে টিভির রিমোট নিয়ে মারপিট করতাম। আমার ভাই এখন লন্ডনে এক জন নামকরা শেফ।
প্র: আপনি রাঁধতে পারেন?
উ: (হেসে) ডিমও ভাজতে পারি না!
প্র: নতুন হিসেবে ইন্ডাস্ট্রি আপনার প্রতি সদয় ছিল? যে ইন্ডাস্ট্রিতে মিটু-র মতো ঘটনা অবিরত ঘটছে?
উ: যে কোনও ইন্ডাস্ট্রিতে এ রকম ঘটনার বলি হচ্ছেন মেয়েরা। আমাদের এখানে বিষয়টা নিয়ে চর্চা শুরু হয়ে ভালই হয়েছে। মানুষ জানতে পেরেছে, ইন্ডাস্ট্রি মানেই শুধু গ্ল্যামার নয়। আমার সঙ্গে ব্যক্তিগত ভাবে কিছু হয়নি কখনও। তবে এই আন্দোলনে আমি খুশি।
প্র: এর পরে কী কাজ করছেন?
উ: ‘মেড ইন চায়না’র হংকং শিডিউল র্যাপ করলাম। আর ‘প্রস্থানম’-এর এক-দু’দিনের শুটিং বাকি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy