অরুণা
প্র: যখনই দেখা হয়, আপনাকে হাসিখুশি দেখি। নিজেকে সব সময়ে এত খুশি রাখেন কী করে?
উ: জীবনের অঙ্কটা খুব ভাল ভাবে শিখেছি বলেই পারি হয়তো। সুখ-দুঃখ সবই এসেছে আমার জীবনে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শিখেছি, কী ভাবে সেটাকে ম্যানেজ করতে হয়।
প্র: ‘দিল তো হ্যাপি হ্যায় জি’তে আপনাকে সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ করেছিল কোনটা?
উ: পঞ্জাবি পটভূমি। আমি পঞ্জাবি ভাষা জানি না। ভাষা নিয়ে কাজ করতে হয়েছে, যেটা চ্যালেঞ্জিং ছিল। আর এখন যে ভাবে টিভি শো তৈরি হয়, সেই সেট আপে কাজ করাটা খুব ইন্টারেস্টিং। আমার মতে, দর্শক যা দেখতে পছন্দ করেন, নির্মাতারা তা-ই বানান। আমাকে অনেকে জিজ্ঞেস করেন, কেন এখনকার সব শো ভূত-প্রেত, ডাইনিদের নিয়ে তৈরি হয়। আমার কথা হল, এখানে সকলে কাজ করতে এসেছেন। তাই নিজের লাভ সকলেই দেখবে।
প্র: আপনি টিভিতে কী দেখতে পছন্দ করেন?
উ: (হেসে) আমি শুধু শেয়ার মার্কেটের খবর দেখি। এই নিয়ে বাড়িতে খুব ঝগড়া হয়! যখন আমার প্রোডাকশন হাউস বন্ধ করলাম, সেই সময় থেকেই শেয়ার মার্কেট সম্পর্কে আমার আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
প্র: এক সময়ে ছবির ইন্ডাস্ট্রিতেও আপনি রাজত্ব করেছেন। কিন্তু আপনাকে এখন ছবিতে আর দেখা যায় না কেন?
উ: ২০০০ সাল থেকে আমি ছবি করা বন্ধ করে দিয়েছি। আমার জন্য তেমন চরিত্র কোথায়? টিভিতে আমি কেন্দ্রীয় চরিত্র পাই। দর্শক আমাকে ভালবাসেন, আমাকে দেখতে পছন্দ করেন। যেখানে সম্মান পাওয়া যায়, সেখানে কাজ করাটাই বাঞ্ছনীয় বলে মনে করি।
প্র: ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই যেমন, বিনোদ খন্না, কাদের খান চলে গিয়েছেন। অথচ এই কিংবদন্তিদের অন্তিম মুহূর্তে ইন্ডাস্ট্রির বর্তমান শিল্পীদের উপস্থিতি তেমন চোখে পড়ে না...
উ: আগে পরিস্থিতি অন্য রকম ছিল। আমি, কাদের ভাই, শক্তি কপূর আর আসরানি ছিলাম চার শয়তান! গোটা ইন্ডাস্ট্রিটা একটা পরিবারের মতো ছিল। আমি মনে করি, লাইমলাইটে থাকতে থাকতেই এক জন শিল্পীর অবসর নেওয়া উচিত। কাদের ভাই কাজ থেকে অনেক দিন দূরে চলে গিয়েছিলেন। কারও সঙ্গে কথা বলতেন না। খিটখিটে হয়ে গিয়েছিলেন। সকলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল তাঁর। আমি আসলে পাল্টে যাওয়া পরিস্থিতি নিয়ে মানসিক অবসাদে ভুগি না। চেষ্টা করি খুশি থাকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy