আয়ুষ্মান খুরানা
প্র: আপনার লাকি নাম্বার কি ২?
উ: সেটা হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি (হাসি)। সাধারণত দুটো ছবি পরপর মুক্তি পেলে দর্শক বিভ্রান্ত হন। তবে গত বছর এবং এ বছর মিলিয়ে চারটে ছবিই খুব ভাল চলেছে।
প্র: বদলে যাওয়া বলিউডের সুবাদেই কি আপনার এই সাফল্য?
উ: আমার প্রথম ছবি ‘ভিকি ডোনর’ ইন্ডাস্ট্রির বদলের একটা বড় এজেন্ট ছিল। পাশাপাশি দর্শকও ওই ছবিতে ট্যাবু ভাঙা বিষয়ের স্বাদ পেয়েছিলেন। আমার পরের ছবিগুলোও ‘দম লগাকে হাইশা’, ‘শুভ মঙ্গল সাবধান’, ‘অন্ধাধুন’ কোনও না কোনও ভাবে নতুন। সত্যি কথা বলতে, বলিউডের এই বদলানোর প্রক্রিয়ায় আমারও ভূমিকা রয়েছে। আর আমি ভাগ্যবান যে, এই ধরনের ছকভাঙা স্ক্রিপ্টে কাজ করতে পেরেছি।
প্র: ট্যাবু ভাঙার ছবিগুলিতে আপনার চরিত্র ‘আলফা মেল’-এর কনসেপ্টকে চ্যালেঞ্জ করেছে। বাস্তবেও আপনি এতটাই সরব?
উ: অবশ্যই। তবে আলফা মেলের কনসেপ্টকে চ্যালেঞ্জ করার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্গ সমতায় বিশ্বাস করা। বাস্তবেও আমি সেটা মানি। প্রশ্ন হচ্ছে, মেল ইগোকে নিয়ে কী করা যায়? ‘শুভ মঙ্গল...’, ‘দম লগাকে...’ ছবিগুলো সেই বিষয়টাকেই তুলে ধরেছিল।
প্র: স্টারকিড না হওয়া কি আশীর্বাদ না অভিশাপ?
উ: আমার মতে, এটার দুটো দিকই আছে। স্টারকিড না হলে প্রথম ছবির কৃতিত্বও সংশ্লিষ্ট অভিনেতাকে দেওয়া হয়। আর সে যদি তাঁর প্রতিভার ৫০ শতাংশও করে দেখাতে পারেন, তা হলে প্রশংসিতও হন। অন্য দিকে স্টারকিডের ক্ষেত্রে প্রথম ছবির সুযোগ তুলনায় সহজে আসে। কিন্তু তাঁদের উপরে থাকে প্রত্যাশা পূরণের চাপ। তবে প্রতিভাই শেষ কথা বলে।
প্র: সাফল্য না ব্যর্থতা, কোনটা সামলানো বেশি কঠিন?
উ: আমার মতে, সাফল্য খারাপ শিক্ষক। আর ব্যর্থতা ফ্রেন্ড, ফিলোজ়ফার, গাইড। সাফল্য আত্মবিশ্বাস বাড়ায়, উৎসাহ বাড়ায়। কিন্তু ব্যর্থতা জীবনকে বিভিন্ন আঙ্গিকে দেখতে শেখায়। ব্যর্থতাই মাটিতে পা রেখে চলতে সাহায্য করে।
প্র: ‘কফি উইথ কর্ণ’-এ ভিকি কৌশলের সঙ্গে আসবেন। ভিকি এখন আপনার প্রতিদ্বন্দ্বী?
উ: আমি ঠিক জানি না। তবে এটা মানি, প্রতিযোগিতা যে কারও সঙ্গে হতে পারে। রণবীর কপূর ও রণবীর সিংহের সঙ্গেও হতে পারে। কারণ আমরা সকলেই ভিন্ন ধরনের চরিত্র করতে চাই। আমার লক্ষ্য, কনটেন্ট ভিত্তিক ছবিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। দর্শককে এই প্রতিশ্রুতি দিতে চাই যে, আমার অভিনীত যে কোনও ছবিতে কনটেন্ট বেশি গুরুত্ব পাবে।
প্র: স্টারডম অস্বস্তির না মজার?
উ: যতক্ষণ অ্যাটেনশন পাচ্ছি, মজাই লাগে। জানি, আমি স্টারডম অর্জন করেছি। কিন্তু নিজের মানসিক শান্তির জন্য স্টারডম মাথায় ঢোকাতে চাই না।
প্র: তাহিরার (স্ত্রী) অসুস্থতার সময়ে মাথা ঠান্ডা রেখেছিলেন কী ভাবে?
উ: ওর কাছ থেকেই সাহস পেয়েছি। ও পজ়িটিভ ভাবেই চ্যালেঞ্জটাকে গ্রহণ করেছে। লড়াই করেছে। তাই আমিও নিজেকে শান্ত রাখতে পেরেছিলাম। তখন ছবির প্রচারের কাজও করেছি। কেরিয়ারেও খুব ভাল সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। এই ঘটনাগুলোই শেখায়, জীবন নিখুঁত নয়। আমরা খুঁতগুলোকে নিয়েই বাঁচতে শিখি। জীবনকে সেলিব্রেট করি।
প্র: গায়ক আয়ুষ্মান কি অভিনেতা আয়ুষ্মানকে কখনও ছাপিয়ে যাবে?
উ: আমি কোনও দিন সেটা চাইব না (হাসি)। এমন অভিনেতা হতে চেয়েছি, যে গাইতে পারে। এমন গায়ক নয়, যে অভিনয় করতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy