Advertisement
১৭ এপ্রিল ২০২৪

‘ছবি বিক্রি নয়, দর্শকের কাছে পৌঁছতে হবে’

তাঁর ছবির সৌজন্যে অভিনেতারা তারকা হয়েছেন। সুপারস্টারের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা শোনালেন পরিচালক আনন্দ এল রাইতাঁর ছবির সৌজন্যে অভিনেতারা তারকা হয়েছেন। সুপারস্টারের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা শোনালেন পরিচালক আনন্দ এল রাই

আনন্দ

আনন্দ

মধুমন্তী পৈত চৌধুরী
শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০১৮ ০০:০০
Share: Save:

প্র: আপনার ছবির লিড জুটির একটা নতুনত্ব থাকে। শাহরুখ-ক্যাটরিনা-অনুষ্কাকে দর্শক একসঙ্গে আগে দেখেছেন। তবু ওঁদেরই নিলেন কেন?

উ: আমি আলাদা কিছু করতে চাইনি। স্ক্রিপ্টের প্রতি আমি বরাবর বিশ্বস্ত। স্ক্রিপ্টের চাহিদা অনুযায়ী অভিনেতা কাস্ট করা হয়। ওঁরা তিন জন যে আগে কাজ করেছেন, সেটা কখনও ভাবিনি। এটা কাকতালীয় যে, আমার ছবির চরিত্রগুলোর সঙ্গে অন্যদের চেয়ে ওঁদের বেশি মানিয়েছে।

প্র: শাহরুখ খানের শেষ কিছু ছবি বক্স অফিসে চলে‌নি। তার জন্য অতিরিক্ত চাপ অনুভব করেছেন?

উ: সত্যি কথা বলতে, আমি কখনও চাপ নিই না। কাজটা আমি উপভোগ করি। এখনও পর্যন্ত আমার জার্নি বেশ সুন্দর। বাকি ছবিগুলোর মতোই এই ছবির জন্যও একটু ভয় ও আলাদা উন্মাদনা রয়েছে। যে কোনও গল্পকারের মধ্যে একটু ভয় থাকা দরকার। ওই ভয়টাও আমি উপভোগ করি।

প্র: ‘জ়িরো’ কি সুপারহিরো ছবিগুলোর প্রতি এক ধরনের প্রতিক্রিয়া?

উ: এক দিক থেকে তো অবশ্যই। পাঁচ বছর আগে বলিউডে যখন সুপারহিরো ছবি তৈরি হচ্ছিল, আমার মনে হয়েছিল ওগুলোর মধ্যে ভারতীয় ছাপ নেই। ভিস্যুয়ালি ওটা অন্যদের কাছ থেকে ধার করা। তখন আমি বলেছিলাম, হয়তো উচ্চতায় এখনও আমরা খাটো রয়েছি। সেখান থেকেই এই ছবির আইডিয়া আসে।

প্র: শাহরুখের স্টারডম কি অন্তরায় মনে হয়েছে?

উ: মনে হতে পারত। কিন্তু শাহরুখ আমাকে সেই সুযোগ দেয়নি। বন্ধু হিসেবে ও আমার কাছে এসেছিল। এই জার্নিটায় ও আমার ফ্রেন্ড, ফিলোজ়ফার, গাইড হয়ে উঠেছে। আমাকে বড় দাদাও মানে। পাশাপাশি ও কিন্তু এখনও ছাত্র। এত বছরের অভিজ্ঞতার পরে ও কী ভাবে এটা করে জানি না। যখনই ওর সঙ্গে দেখা হয়, এক জন নতুন অভিনেতা ওর মধ্যে আবিষ্কার করি। ইটস ম্যাজিক্যাল।

প্র: শাহরুখের কোন ছবি আপনার সবচেয়ে প্রিয়?

উ: অনেক ছবিই রয়েছে। তবে ওর কেরিয়ারের গোড়ার দিকের ছবিগুলো, যেখানে ও ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছে, ‘কভি হাঁ কভি না’, ‘বাজ়িগর’, ‘রাজু বন গয়া জেন্টলম্যান’, ওই দশকটা আমার বেশি প্রিয়।

প্র: প্রযোজক হিসেবে বেশ কিছু অন্য ধরনের ছবির পাশে দাঁড়িয়েছেন। দর্শক কি এখন বাস্তবঘেঁষা গল্প দেখতে বেশি পছন্দ করছেন?

উ: দর্শক চান, গল্পকাররা যেন পুরো বিশ্বাসের সঙ্গে ছবি বানান। স্ট্র্যাটেজি যদি কিছু করতে হয়, সেটা ছবি বানানোর পরে করতে হবে। ছবি বানানোর সময়ে নয়। দর্শক গল্প শুনতে চান। একটা স্টার বা সেটআপ বেচে দিলেই কাজ শেষ নয়। ছবি-করিয়ে ও দর্শকের মধ্যে যেন একটা দেওয়া-নেওয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দর্শক কী চাইছেন, সেটা বুঝতে হবে আমাদের। ছবি বিক্রি করা নয়, তাঁদের কাছে গল্প নিয়ে পৌঁছতে হবে।

প্র: অনুরাগ কাশ্যপের বেশ কিছু প্রজেক্টে আপনি পাশে ছিলেন। ওঁকে এই সময়ের প্রেক্ষিতে সেরা বলবেন?

উ: অনেক বছর ধরে অনুরাগ আমার প্রিয়। ওর সঙ্গে কাজ করতেও ভাল লাগে। অনুরাগের সাহস ও আত্মবিশ্বাসের জোরে ওর ভাবা ছবিগুলোর মধ্যে সম্ভাবনা থাকে। ‘মনমর্জ়িয়া’ আমার অন্যতম প্রিয় ছবি।

প্র: পরিচালকের কাজে হস্তক্ষেপের জন্য কঙ্গনা রানাউতের নাম বারবার উঠে আসে। ওঁর সঙ্গে আপনার কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?

উ: ২০১১-য় ‘তনু ওয়েডস মনু’ আর ২০১৫-য় ‘তনু ওয়েডস মনু :রিটার্নস’-এ আমরা কাজ করেছি। চার বছরের ব্যবধানে দু’রকম অভিজ্ঞতা হয়েছে। ব্যক্তিগত পরিসরে আমরাও নিজেদের মতো করে পরিণত হয়েছি।

প্র: আপনি ওই সমস্যার মুখে পড়েননি?

উ: যেহেতু আমরা একের বেশি ছবি করেছি, তাই দু’জনেই পরস্পরের পরিধি সম্পর্কে জানতাম। পরস্পর পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলাম। তাই কখনও কেউ রেখা পার করিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE