Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

কারও স্ক্রিপ্ট হাইজ্যাক করার প্রয়োজন নেই

নিজের তৈরি ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি এবং নতুন ছবির খবর নিয়ে আনন্দ প্লাসের সামনে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় নিজের তৈরি ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি এবং নতুন ছবির খবর নিয়ে আনন্দ প্লাসের সামনে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়

কৌশিক। ছবি: সুপ্রতিম চট্টোপাধ্যায়

কৌশিক। ছবি: সুপ্রতিম চট্টোপাধ্যায়

অন্তরা মজুমদার
শেষ আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮ ০০:০০
Share: Save:

প্র: ‘বিসর্জন’-এর ট্রিলজি বানানোর কথা ভাবছেন বলে শুনছি...

উ: আসলে ‘বিসর্জন’-এর চারটে পার্ট আছে। ‘বিজয়া’র পরেও চমৎকার একটা গল্প রয়েছে, যেটা পুরোটাই বাংলাদেশে হবে। সেখানে যারা বেঁচে থাকবে সেই সব চরিত্ররাও থাকবে। তবে নামধাম ঠিক নেই। আশা করছি, এক বছর পরে করব। লোকে সাহিত্যনির্ভর ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি করে, আমি ভাবলাম নিজের তৈরি একটা ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি করব! ‘বিসর্জন’ একটা দৃষ্টান্তমূলক সাফল্য পেয়েছিল বলে আমাদের সাহসটাও বেড়ে গিয়েছিল ‘বিজয়া’-য় বাকি গল্পটা বলার। ইছামতীর ধারে যে চরিত্রগুলো শেষ হয়ে গিয়েছিল, তারা এমন সুন্দর করে চোখের সামনে জীবন্ত হয়ে উঠল যে, মনে হল যেন আমারই সন্তানরা ফিরে এসেছে। তাদের সঙ্গে কোথাও একাত্ম হয়ে গিয়েছি।

প্র: আর চার নম্বর পার্ট?

উ: ‘বিসর্জন’-এ নাসির আলিকে এক দিন সকালে ওই গ্রামে পাওয়া, তার আগে পদ্মার ওই গ্রামে বিয়ে হয়ে আসা গণেশ মণ্ডলের সঙ্গে তার আলাপ— এগুলো কী করে হল, সেটা বলার জন্য একটা প্রিকুয়েলও আছে। তবে পুরোটাই দর্শক কতটা আমাদের ভালবাসা দিচ্ছেন, তার নিরিখে হবে।

প্র: নাসির আলির সঙ্গে পদ্মাকে মিলিয়ে দিতেই হতো?

উ: (হাসতে হাসতে) এই উত্তরটা দিলে কেউ আর ছবি দেখবে না! তবে নাসির আলি আর পদ্মা তো মিলিত হতেই চায়। দর্শকও কিছুতেই চান না, পদ্মা গণেশ মণ্ডলের হাতেই পড়ে থাকুক! যদিও গণেশ মণ্ডলকে দর্শক অগাধ ভালবাসা দিয়েছেন। কিন্তু সে দুষ্টু না ভাল লোক, সেটা ‘বিসর্জন’-এ হয়তো দর্শক বুঝতে পারেননি। ‘বিজয়া’তে বুঝতে পারবেন।

প্র: ‘নগরকীর্তন’-এর মুক্তি কি পিছিয়েছে?

উ: হ্যাঁ, আমরা ঠিক করেছি কোনও ছবির সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি না করলেই সব ছবির উপকার হবে। ১৮ জানুয়ারিতে না করে, ওটা ফেব্রুয়ারিতে রিলিজ় করব। কারণ জানুয়ারির ওই সময়টায় সৃজিতের ছবি আসছে। ও শান্তিতে ছবি রিলিজ় করুক। মানুষ ভাল করে ছবিটা দেখে নিন। তার পরে একটা সময়ে আমরা ঠিক চলে আসব। কারণ ‘নগরকীর্তন’ লোকে দেখবে। ভাদ্র মাসে মুক্তি পেলেও দেখবে।

প্র: সৃজিতের জন্য নিজের জায়গা ছেড়ে দিলেন? আপনাদের তো জোর প্রতিযোগিতা...

উ: পুজোর সময়ে চার-পাঁচটা ছবি একসঙ্গে রিলিজ় করলে যে, কোনও ছবিরই ব্যবসা ঠিক মতো হয় না, সেটা তো আমরা দেখলাম। ‘কিশোরকুমার জুনিয়র’-এ যে সাড়া পাব বলে আশা করেছিলাম, সেটা তো পাইনি। আর প্রতিযোগিতা প্রসঙ্গে বলি, আমার আর সৃজিতের মধ্যে কম্পিটিশন থাকাটা উচিত। আমি, সৃজিত, শিবু, অরিন্দমের মধ্যে যদি প্রতিযোগিতা না থাকে, তা হলে কি ইন্ডাস্ট্রি চলবে? সবাই লক্ষ্মী-লক্ষ্মী, ভাই-ভাই হয়ে থাকব! সিনেমা বানানো, তার বিপণনের মধ্যে একটা লড়াই আর আনন্দ আছে। সেটাকে তো অস্বীকার করতে পারি না।

প্র: ‘জ্যেষ্ঠপুত্র’র চিত্রনাট্য নিয়ে সমস্যাটা ঠিক কী হয়েছিল?

উ: কোনও সমস্যা তো হয়নি! প্রতিম দাশগুপ্তকে আমি পারিবারিক ভাবে ছোটবেলা থেকে চিনি। আমার ওকে বিশ্বাস করাটাই কাজ, অবিশ্বাস করাটা নয়। তবে অহঙ্কারের মতো শোনালেও একটা কথা বলি। কলকাতা শহরে আমি একমাত্র পরিচালক, যে নিজের লেখা গল্প নিয়ে বাইশটা ছবি বানিয়েছে। তেইশ নম্বর ছবিতে গিয়ে কারও স্ক্রিপ্ট হাইজ্যাক করার প্রয়োজন নেই। ছবিটা ঋতুদাকে সম্মান জানিয়ে ওঁর ভাবনা নিয়ে সম্পূর্ণটাই আমার চিত্রনাট্যে হচ্ছে। আর কপিরাইটের কথাই যদি বলেন, সেটার দািয়ত্বে ঋতুদার ভাই (ইন্দ্রনীল ঘোষ)। উনিই আমাকে সম্মতি দিয়েছেন। আমার পক্ষে তো জানা সম্ভব নয়, ঋতুদা কার সঙ্গে বসে কী ডেভেলপ করেছিলেন! তবে প্রতিম যেহেতু ওই প্রসেসটার সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে জানিয়েছে, সেটা আমি পর্দায় স্বীকার করব বলে ঠিক করেছি।

প্র: অপরাজিতা আঢ্য ‘জ্যেষ্ঠপুত্র’-এ আর রইলেন না কেন?

উ: একদম প্রথমে ভাবা হয়েছিল ওর কথা। কিন্তু ওই সময়ে ‘বেলাশুরু’র শুটিং শুরু হচ্ছিল। দ্বিতীয় কথা, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী হিসেবে দুটো সফল ছবিতে ওকে দেখা গিয়েছে। এখানে বোন না-ই বা হল! তবে পরে একসঙ্গে আবার কাজ করব।

প্র: সেটা নিশ্চয়ই ঠিক করে ফেলেছেন কোন প্রজেক্ট?

উ: লেখার কাজ শুরু করেছি। এসভিএফ-এর সঙ্গে করব বলেই ভাবা। তবে বিষয়টা নিয়ে এখনও শ্রীকান্ত মোহতার সঙ্গে বসিনি। ওরও পছন্দ-অপছন্দের ব্যাপার রয়েছে। এটা রোম্যান্টিক কমেডি। নাম ‘মোটামুটি লাভস্টোরি’। এটা ফেব্রুয়ারি বা মার্চ থেকে হয়তো শুটিং শুরু করব। আমি আছি, আর আমার সঙ্গে অপরাজিতা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE