ছবিতে জন।
গত কয়েক মাস খুব খারাপ কেটেছে জন আব্রাহামের। ‘পরমাণু: দ্য স্টোরি অব পোখরান’ অনেক বাধাবিপত্তির মধ্য দিয়ে গিয়েছে। ছবির অন্যতম প্রযোজক প্রেরণা অরোরা সময় মতো টাকা দিতে না পারার জন্যও সমস্যা হয়। শেষ পর্যন্ত হাই কোর্টের সাহায্য নেন জন।
প্র: প্রযোজক না অভিনেতা, কোন কাজটা বেশি কঠিন?
উ: বলা মুশকিল! দুটো ভূমিকাই আমি উপভোগ করি। তবে হ্যাঁ, প্রযোজকের কাজটা একেবারেই থ্যাঙ্কলেস জব। কোনও ছবি চললে তার কৃতিত্ব যেমন অভিনেতার, তেমনই ব্যর্থতার দায়ও অভিনেতারই। ছবির ভবিষ্যৎ যাই হোক, প্রযোজককে টাকা ঢেলে যেতে হয়।
প্র: পোখরানের বিষয়টা নিয়ে ছবি তৈরির পিছনে কোনও বিশেষ কারণ ছিল?
উ: প্রথম, পরমাণুর মতো বিষয় নিয়ে আমার মতো পাগলই ছবি তৈরি করতে পারে। দ্বিতীয়, আমার নিজের শুধু মনে হতো, স্বাধীনতার পর একমাত্র এই ঘটনাটাই সারা দেশকে আলোড়িত করেছিল। পরমাণু পরীক্ষা নিয়ে গর্বিত ছিল তামাম দেশবাসী। গোটা বিশ্বকে জানিয়ে দিতে পেরেছিলাম, আমরা কারও চেয়ে কম নই। আর একটা কথা, এখনকার প্রজন্মের কিন্তু পোখরান সম্পর্কে জ্ঞান কম। এটা আমাকে খুব ভাবিয়েছিল। আমাকে অনেকে জিজ্ঞাসা করেন, কেন ‘ম্যাড্রাস কাফে’ করেছিলাম। আমার মনে আছে, রাজীব গাঁধীর হত্যার ঘটনা টেলিভিশনে দেখে আমার মা ভীষণ কান্নাকাটি করেছিলেন। গোটা দেশবাসীর কাছে একটা ধাক্কার মতো ছিল বিষয়টা। তার পর একটি পত্রিকায় ঘটনাটি বিশদে পড়ার পরে মনে হয়, ছবি বানানো দরকার। আমার মতে, ‘পরমাণু’র মতো ছবি সব স্কুল-কলেজে দেখানো উচিত।
প্র: বলা হয়, সারা বিশ্বে কোথায় কী ঘটছে তা নিয়ে জন আব্রাহাম সবচেয়ে বেশি আপডেটেড।
উ: সিরিয়া, আফগানিস্তান, উগান্ডা— বিভিন্ন প্রান্তে কী ঘটছে আমি সব খবর রাখি। ইন্টারন্যাশনাল ম্যাগাজ়িনের সব লেটেস্ট এডিশন আসে আমার কাছে। শুধু সাম্প্রতিক ঘটনা কেন, মোটরসাইকেল নিয়েও যদি কেউ প্রশ্ন করে তা হলেও আমার কাছে সব উত্তর পাবে। তবে ইন্ডাস্ট্রিতে এত দিন থাকার পরেও মেকআপ নিয়ে আমার জ্ঞান কিন্তু শূন্য।
প্র: প্রযোজক হিসেবে ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন কাকে প্রতিশ্রুতিমান মনে হচ্ছে?
উ: আমার সঙ্গে সকলের সম্পর্ক খুব ভাল। বরুণ ধওয়ন, টাইগার শ্রফ, আয়ুষ্মান খুরানা এঁরা সকলেই খুব ভাল। একটা জিনিস আমি লক্ষ্য করেছি, অনেক অভিনেতা নিজের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠার জন্য প্রযোজক হন। আমি সেই দলের মধ্যে পড়ি না। এক জন স্বতন্ত্র প্রযোজক হিসেবে এমন গল্প খুঁজে বার করার চেষ্টা করি যা এক জন অভিনেতাকে প্রতিষ্ঠা দেবে। নিজের জন্য প্রযোজক হইনি।
প্র: মডেলিং থেকে যখন পর্দায় আসার পরে আপনার অভিনয় ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে, তার পরেও এত বছর টিকে যাওয়ার রহস্যটা কী?
উ: আমাদের সব কিছুতেই নেতিবাচক মনোভাব। আমাদের সময়ে কারও ছবি না চললেই আশপাশে নানা রকম কথাবার্তা চলত। আমার এ সবে কিছু এসে যায় না। স্টারকিডরা যে আমাদের চেয়ে বাড়তি সুবিধা পায়, তা নিয়েও আমার কোন সমস্যা নেই। আমি নিজের ক্ষমতায় নিজের পরিচিতি তৈরি করেছি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy