কৃতিকা
প্র: শোনা যাচ্ছিল, যশ রাজ ফিল্মস আপনাকে লঞ্চ করছে।
উ: অনেক সময়ে এমন হয়। একটা সুযোগ তৈরি হয়, কিন্তু তা শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয় না। তবে আমি খুশি যে, ‘মিতরোঁ’ দিয়ে ডেবিউ হচ্ছে। দেখলাম, এই ছবিতে আমার কাজ শুধুমাত্র ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা নয়। আমার অভিনয় প্রতিভাও খুব সুন্দর কাজে আসবে। ছবির পরিচালক নিতিন কক্কর জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত। আমার উইশ লিস্টে বরাবর ওঁর নাম ছিল।
প্র: সুযোগ হাতছাড়া হওয়ায় খারাপ লাগেনি?
উ: অবশ্যই লেগেছে। আর এগুলো কিন্তু হবেই। ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে গেলে ইস্পাতের হৃদয় লাগে আর তার সঙ্গে অপরিসীম ধৈর্য। কোনও কোনও সময়ে রিজেকশনের কারণও খুব অদ্ভুত হয়। আমি টেলিভিশনের পরিচিত মুখ, তাই আমাকে অডিশনের জন্য ডাকা হয়। আবার রিজেক্টও করা হয় এই কারণে যে, আমি নাকি ছোট পর্দায় ওভার এক্সপোজ়ড। মুম্বইয়ে আমি আর আমার ভাই একসঙ্গে থাকি। বন্ধুদের একটা ভাল সার্কল আছে। সকলের সঙ্গে থাকি বলে এত মন খারাপ হয় না।
প্র: সব অভিনেতারই স্বপ্ন থাকে সিনেমায় অভিনয় করার। এ বার তো সেটা পূর্ণ হল।
উ: জানেন তো, অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্ন আমার কোনও দিন ছিল না। যখন ১৮ বছর বয়স তখন আমি ‘কিতনি মহব্বত হ্যায়’ করি। সেটে আসার পরে ধীরে ধীরে ক্যামেরার সঙ্গে ভালবাসা শুরু হল। লাভ অ্যাট ফার্স্ট সাইট বলতে পারেন (হাসি)! ফিল্মমেকিং সম্পর্কে আমার আগ্রহ রয়েছে। ক্যামেরার সামনে শুধু নয়, ক্যামেরার পিছনেও আমার থাকার ইচ্ছে আছে। ভবিষ্যতে সুযোগ পেলে ফিল্মমেকিংয়ে একটা কোর্স করব।
প্র: ছোট পর্দার অনেকেই সিনেমা জগতে আসছেন। প্রতিযোগিতা কি বেড়ে গিয়েছে?
উ: আমি তো খুব গর্ব অনুভব করি। কিছু দিন আগে মৌনী রায় ‘গোল্ড’-এ কাজ করল। যদিও ছবিটা আমার এখনও দেখা হয়নি। তবে দেখে নেব। তার পর রাধিকা মদন ‘পটাকা’ ছবিতে কাজ করেছেন। এখন সেই সময় এসে গিয়েছে যখন টিভির অভিনেতাদের আর আলাদা ভাবে দেখা হয় না। আমার মতে, টিভি আর ফিল্মের ব্যবধান আগের চেয়ে অনেক কমে গিয়েছে।
প্র: ছোট পর্দায় অনেক দিন ধরেই কাজ করছেন। কিন্তু খুব বাছাই করে কাজ করেন।
উ: একটা কথা খুব বিশ্বাস করি, বেশি কাজ করলে আপনি মেকানিক্যাল হয়ে যাবেন। আমি অভিনয় শিখে আসিনি। কাজ করতে করতেই শিখেছি। আমি খুব স্পন্টেনিয়াস অভিনেতা। একটা প্রজেক্ট শেষ হলে আমি পরের প্রজেক্টের জন্য চিন্তা করি না। ব্রেক নিই। বেড়াতে চলে যাই। বন্ধু এবং পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাই। এগুলো করেই কিন্তু আমি নিজেকে গ্রুম করি। কত কিছু জানতে পারি। এগুলোই আমাকে অভিনয়ের সময়ে সাহায্য করে।
প্র: আগে তো নিজের প্রেমজীবন নিয়ে খোলাখুলি কথা বলতেন। কিন্তু এখন কিছু বলতে চান না কেন?
উ: শুনতে খুব ক্লিশে লাগবে কিন্তু এই মুহূর্তে আমি প্রেম নয়, বন্ধুত্বে বিশ্বাসী। কাজে আরও বেশি ফোকাস করতে চাই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy