মণীশ গোপলানি
হাওড়া ব্রিজ, গঙ্গার ঘাট, কুমোরটুলি... এ শহরের অলিগলিতে বড় হয়েছে দুই ছোট ছোট ছেলেমেয়ে। শান্তনু ও পুচকি। বাড়ি তাদের সোনাগাছি। বড় হওয়া এবং সমাজের নানা টানাপড়েনের মাঝে এগোতে থাকা গল্প নিয়ে শুরু হয়েছে ‘ইয়ে তেরি গলিয়াঁ’। কলকাতায় শুটিং, একই পটভূমিতে স্টোরিলাইন... তাই সম্প্রতি শহরে ঘুরে গেলেন ধারাবাহিকের প্রধান চরিত্র ‘শান্তনু’ ওরফে মণীশ গোপলানি। ‘থাপকি পেয়ার কী’ বা ‘ডিটেকটিভ দিদি’র সৌজন্যে মণীশ এখন হিন্দি ধারাবাহিকের পরিচিত মুখ।
আদতে জয়পুরের ছেলে মণীশ খানিকটা বাধ্য হয়েই ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েন। পাশাপাশি থিয়েটারও করেছিলেন। ‘‘যখন পরে জয়পুরে ‘ছোরি তেরা গাঁও বড়া পেয়ারা’ করেছিলাম, বাবা মেনে নিয়েছিলেন আমার ইচ্ছে। এর পরে আর কখনও নিষেধ করেননি। আর মা তো বরাবরই আমি যা করি, তাতেই খুশি। আমার ভাল থাকাতেই মায়ের আনন্দ,’’ বললেন মণীশ। জয়পুরে একটি ধারাবাহিকে অভিনয় করলেও মুম্বইয়ে আসাকেই তাঁর কেরিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট মনে করেন।
একদম অন্য ধরনের চরিত্র শান্তনুর জন্য মণীশ বিশেষ পড়াশোনা করবেন, তথ্যচিত্র দেখবেন বলে ঠিক করেছেন। অভিনয়ের অনুপ্রেরণা? ‘‘আমির খান,’’ উত্তর এল চটজলদি। জিজ্ঞাসা সিংহের সঙ্গে এক সময়ে চুটিয়ে প্রেম করলেও এখন নিজেকে ‘সিঙ্গল’ বলতেই পছন্দ করেন মণীশ। আর রোম্যান্টিসিজ়ম? ‘‘ওটা আমি কী করে বলি? মেয়েরাই ভাল বলতে পারবে!’’ জবাব মণীশের। কলকাতায় এসে তাঁর বিশেষ পছন্দ এখানকার খাবারদাবার। বললেন, ‘‘এখানে মাছ-মাংস দারুণ। এ ছাড়া এখানকার সংস্কৃতি সম্পর্কে অনেক কথা শুনেছি। আর অবশ্যই এখানকার লেখক, যেমন সত্যজিৎ রায়ের লেখা পড়েছি।’’
নিজের চারপাশের মানুষজনের আনন্দেই খুশি থাকেন এই অভিনেতা। অবসরে খেলেন দাবা, পুল। নিজেকে কী ভাবে দেখেন— তার উত্তরে ‘আমি অবিরাম শিখে চলেছি’ বললেও মণীশ কিন্তু নিজেকে বর্ণনা করতে বেশি ভালবাসেন ‘মাম্মাজ় বয়’ হিসেবে। আর প্যাম্পার্ড হতেও বড্ড ভালবাসেন। তা অবশ্য বোঝাই গেল হোটেলের রুমে প্লেটে পড়ে থাকা অর্ধসমাপ্ত আলুর পরোটা, আচার আর দইয়ের থালি দেখে!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy