নওয়াজ়উদ্দিন
প্র: বাল ঠাকরের চরিত্রের প্রস্তাব পেয়ে প্রথম প্রতিক্রিয়া কী ছিল?
উ: খুব গর্ব অনুভব করেছিলাম। পরিচালক সঞ্জয় রাউত আমাকে এই চরিত্রের জন্য ভেবেছেন। সেটা আমার কাছে বড় বিষয়। আমি ছাড়া যে কোনও সুপারস্টারকে এই প্রস্তাব দিলে, তাঁরাও এক বাক্যে ‘হ্যাঁ’ বলতেন।
প্র: চরিত্রটি ফুটিয়ে তোলার জন্য সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং কী ছিল?
উ: প্রথম দিন থেকে মাথায় ঢুকিয়ে নিয়েছিলাম, যেন ঠাকরের মিমিক্রি বা ক্যারিকেচার না করি। তা হলে ছবি দেখার মজাই চলে যাবে। বালসাহেবের বডি ল্যাঙ্গোয়েজ এমন ভাবে গুলে খেয়েছিলাম, যেন মনে হয়, আমি ভিতর থেকে করছি। মরাঠি ভাষাতেও ছবিটি বানানো হয়েছে। সেখানে আমি ডাব করিনি। যদি কিছু ভুলচুক হয়ে থাকে, তা হলে দর্শকের মন ওই দিকে আকৃষ্ট হবে। আমার পারফরম্যান্সে কেউ নজর দেবেন না।
প্র:বালসাহেবের চরিত্রের কোন দিক সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট করেছে?
উ: সবচেয়ে বড় গুণ, উনি কপট ছিলেন না। ওঁর মনে যা ছিল, সেটাই বাইরে। তার পর ওঁকে কেউ পছন্দ করুক বা না করুক, তা নিয়ে উনি মাথা ঘামাতেন না। উনি খোলা বইয়ের মতো ছিলেন। সেই গুণের জন্য মানুষ ওঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। তবে ছবিতে বালসাহেবকে গ্লোরিফাই করে দেখানো হয়নি।
প্র: নাগরিক হিসেবে দেশ সম্পর্কে আপনি কতটা সচেতন?
উ: আমার পেশা অভিনয় করা আর আমার সব ধ্যান-জ্ঞান সে দিকেই। আমরা সকলে যদি নিজের কাজ সৎ ভাবে করি, সেটাও দেশের প্রতি কর্তব্যেরই শামিল।
প্র: ‘সেক্রেড গেমস’-এ আপনার চরিত্র নিয়ে তো অনেক বিতর্ক হল। কী বলবেন সে ব্যাপারে
উ: ‘সেক্রেড গেমস’-এ যা দেখানো হয়েছে, সেটা চরিত্রের সঙ্গে খাপ খাইয়ে দেখানো হয়েছে। রাতারাতি উত্তেজনা তৈরি করার জন্য কিছু করা হয়নি। ‘রমন রাঘব’, ‘বাবুমশাই বন্দুকবাজ’-এ আমি যেমন নেগেটিভ চরিত্র করেছিলাম, তেমন চরিত্রেরও আমাদের সমাজে অস্তিত্ব রয়েছে। আমরা অবশ্য সেটা মানতে চাই না। পর্দায় সব সময়ে সর্বগুণসম্পন্ন চরিত্র দেখার অভ্যেস তৈরি হয়ে গিয়েছে। বাস্তবে এমন চরিত্রের অস্তিত্ব কোথায়? গত পঞ্চাশ বছর ধরে সিনেমায় একই ধরনের চরিত্র আমরা দেখছি!
প্র: বাচ্চারা বড় হচ্ছে। ছবি সই করার সময়ে ওদের কথা মাথায় রাখেন?
উ: কোনও দিন তা করব না। আমি শিল্পী, সমাজকর্মী নই। অনেক অভিনেতাই সেটা বোধহয় ভুলে যান। কোনও চরিত্র আমার মনমতো হলে নিশ্চয়ই সেই ছবিতে কাজ করব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy