Advertisement
১৭ এপ্রিল ২০২৪

‘বিয়েটা আমার কাছে বড় ব্যাপার’

প্রেগন্যান্সি পিরিয়ডেও চুটিয়ে কাজ করছেন নেহা ধুপিয়া। কেরিয়ার নিয়ে সোজাসাপ্টা তিনিপ্রেগন্যান্সি পিরিয়ডেও চুটিয়ে কাজ করছেন নেহা ধুপিয়া। কেরিয়ার নিয়ে সোজাসাপ্টা তিনি

নেহা ধুপিয়া। —ফাইল চিত্র।

নেহা ধুপিয়া। —ফাইল চিত্র।

মধুমন্তী পৈত চৌধুরী
শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০১৮ ০০:৪০
Share: Save:

প্র: ভাবী মায়েদের জন্য দৃষ্টান্ত তৈরি করেছেন! এই সময়েও এত অ্যাক্টিভ রয়েছেন কী ভাবে?

উ: এক এক মায়ের প্রেগন্যান্সির ধরন এক এক রকম। এই সময়ে যাঁরা কাজ থেকে ছুটি নিয়ে বাড়িতে থাকেন, তাঁদের আমি শ্রদ্ধা করি। আবার যাঁরা নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছেন, তাঁদেরও কিছু বলার নেই। আমার ডাক্তার সব সময়ে বলেন, আগের মতোই থাকো। যেন কিছুই পরিবর্তন হয়নি। আমি কাজের মধ্যে থাকতে পছন্দ করি। তাই ছুটির দিনে বাড়িতে থাকতে বেশ অসুবিধেই হয় আমার (হাসি)।

প্র: ‘#নো ফিল্টার নেহা’য় সেলেবদের সিক্রেট ফাঁস করেন। আপনার তিনটি গোপন কথা বলুন...

উ: প্রথমত, এই পিরিয়ডে আমি দিনে তিন বার ব্রেকফাস্ট খেয়েছি। দ্বিতীয়ত, আমি কখনও সময়ে পৌঁছই না। সকলকে মিথ্যে বলি যে, ট্র্যাফিকের জন্য দেরি হয়েছে। আমার টপ সিক্রেট, আমি ইনস্টাগ্রামে সকলকে স্টক করি। আমার শোয়ের জন্য সেটা করতেই হয় (হাসি)।

প্র: কেরিয়ারের শুরুর দিকে একই ধরনের চরিত্র পেতেন। এখন এক্সপেরিমেন্ট করছেন। ইন্ডাস্ট্রি কি আগে আপনাকে নজর করেনি?

উ: আমার সেটা মনে হয় না। আমি যখন শুরু করেছিলাম, তখন এত বৈচিত্রপূর্ণ কাস্টিং করা হতো না। এখন এক জনকেই ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে কাস্ট করা হচ্ছে। ইন্ডাস্ট্রির একটা বড়সড় পরিবর্তন হয়েছে। আমিও সেই পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে গিয়েছি। লিড না সাপোর্টিং চরিত্র, তা দিয়ে এখন আর বিচার হয় না। বিচারের মাপকাঠি হচ্ছে, আমার পারফরম্যান্স এবং স্ক্রিপ্ট। তাই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করার জন্য এখন সময়টা ভাল।

প্র: সুন্দরীর খেতাব জিতে আসায় ইন্ডাস্ট্রি কি আপনাকে অন্য ভাবে দেখত?

উ: একটা সময় ছিল, যখন এই মনোভাব ছিল ইন্ডাস্ট্রিতে। কিন্তু এখন আর নেই।

প্র: কাজ হারানোর ভয়ে আপনি নাকি প্রেগন্যান্সির খবর জানাতে চাইছিলেন না?

উ: আসলে ওই সাক্ষাৎকারে আমার বক্তব্যকে বিকৃত করা হয়। আমি বলতে চেয়েছিলাম, এই পিরিয়ডে আমি লোকের অতিরিক্ত অ্যাটেনশন চাইনি। লোকে

আমাকে আলাদা ভাবে দে‌খুক, সেটা চাইনি।

প্র: তবে এমন কখনও হয়েছে যে, কাজ হারানোর আশঙ্কায় মুখ খুলতে ভয় পেয়েছেন?

উ: না। বেশির ভাগ সময়ে আমি মনের কথা বলি। কিন্তু কখনও এমন হয়, নিজের কথা বলা মানে ধরা হয় আর এক জনকে ছোট করা হচ্ছে। সেটা কিন্তু উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয়। আর এই ইন্ডাস্ট্রি, যাকে আমি বলি সার্ভিস ইন্ডাস্ট্রি, এখানে একটু মেপে কথা বলতেই হয়। আমি তখনই নিজেকে সংযত করি, যখন মনে হয় আমার কথায় আর এক জন আঘাত পেতে পারেন।

প্র: রিয়্যালিটি শোয়ের বিচারক হয়ে দৃষ্টিভঙ্গির কিছু পরিবর্তন হয়েছে?

উ: রিয়্যালিটি শোয়ে ক্যামেরার সামনে নিজের কথা বলা খুব কঠিন, সেটা বুঝেছি। ‘রোডিজ়’-এর মতো শো জাজ করার পরে বুঝেছি, আমিও খুব লড়াকু মানসিকতার। আমার মনে হয়, এতে ভুল কিছু নেই। আমার লড়াই করার প্রবৃত্তি খুব চোখে পড়ার মতো।

প্র: বয়ফ্রেন্ড না স্বামী, কোন ভূমিকায় অঙ্গদ বেশি ভাল?

উ: স্বামী (হাসি)।

প্র: আপনার জন্য সবচেয়ে অদ্ভুত কোন কাজটা করেছেন অঙ্গদ?

উ: আমাকে বিয়ে করেছে (জোরে হাসি)। আমরা দু’জনেই কমিটমেন্ট ফোবিক। তাই বিয়েটা আমাদের কাছে বড় ব্যাপার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE